Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
PM Cares Fund

পিএম-কেয়ার্সে চিনা চাঁদা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন কংগ্রেসের

কংগ্রেস আজ পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার চিনের সঙ্গে না লড়ে কেন বিরোধীদের সঙ্গে কুস্তি লড়তে চাইছে?

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৪:০০
Share: Save:

অমিত শাহ কি রাহুল গাঁধীকে কুস্তিতে আহ্বান জানালেন!

শারীরিক না হলেও, ‘দো দো হাত হো যায়ে’ বলে অমিত আজ রাজনৈতিক কুস্তিতে নামার জন্য রাহুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে রাহুল নিয়মিত প্রশ্ন তুলছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ‘সারেন্ডার মোদী’ বলে রাহুলের কটাক্ষের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বলেন, “সংসদের অধিবেশন বসবে। বিতর্ক করার হলে আসুন, করব। ১৯৬২ থেকে এখন পর্যন্ত, দো দো হাত হো যায়ে। কেউ বিতর্কে ভয় পায় না।”

কংগ্রেস আজ পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার চিনের সঙ্গে না লড়ে কেন বিরোধীদের সঙ্গে কুস্তি লড়তে চাইছে? এত দিন বিজেপির অভিযোগ ছিল, চিন ও দিল্লিতে চিনের দূতাবাস কংগ্রেসের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে চাঁদা দিয়েছে। আজ কংগ্রেসের অভিযোগ, চিনা সংস্থা হুয়ায়েই কোভিড মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তৈরি ‘পিএম-কেয়ারস’ তহবিলে ৭ কোটি টাকা দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, সে কারণেই মোদী সরকার চিন সম্পর্কে নরম সুর নিচ্ছে? মোদী পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু চিনের নাম উচ্চারণ করছেন না কেন?

চিনের সংস্থা হুয়ায়েই-এর ফাইভ-জি ট্রায়ালে অংশ নেওয়া নিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের শাখা সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ আপত্তি তুলেছে। কিন্তু হুয়ায়েই পিএম-কেয়ারস-এ ৭ কোটি টাকা চাঁদা দেওয়ায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের প্রশ্ন, “কেন প্রধানমন্ত্রী এমন সংস্থার থেকে চাঁদা নিয়েছেন, যাদের সঙ্গে চিনের সেনার গভীর যোগাযোগ?” কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “হুয়ায়েই থেকে প্রধানমন্ত্রী টাকা নিয়েছেন কি না, তার জবাব কি দেবেন? চিনা সংস্থা টিকটক কি ৩০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে পিএম-কেয়ারস-এ? পেটিএম, যাদের মালিকানার ৩৮ শতাংশ চিনের কাছে, তারা কি ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে? চিনের শাওমি কি ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে? ওপ্পো কি ১ কোটি টাকা দিয়েছে?”

আরও পড়ুন: জোড়া নির্দেশ কাশ্মীরে, তুঙ্গে জল্পনা

এই প্রশ্নের জবাব না দিলেও অমিত আজ ফের অভিযোগ এনেছেন, রাহুলের ‘ওঁচা রাজনীতি’-র জন্য চিন ও পাকিস্তানের সুবিধা হয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, যখন সীমান্তে সেনা সংঘর্ষ করছে, সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ করছে, তখন চিন ও পাকিস্তান খুশি হয়, এমন কথা বলা উচিত নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy