Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

জিএসটি নিয়ে নরম কংগ্রেস, ইঙ্গিত রফার

পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) হার নিয়ে কংগ্রেস নরম সুর নেওয়ায় সংসদের বাদল অধিবেশনে এ বিষয়ে রফায় পৌঁছনোর আশা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে ক্ষেত্রে ১৮ জুলাই, অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যসভায় জিএসটি বিল নিয়ে আসা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৫
Share: Save:

পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) হার নিয়ে কংগ্রেস নরম সুর নেওয়ায় সংসদের বাদল অধিবেশনে এ বিষয়ে রফায় পৌঁছনোর আশা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে ক্ষেত্রে ১৮ জুলাই, অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাজ্যসভায় জিএসটি বিল নিয়ে আসা হবে। জিএসটি নিয়ে এত দিন তিনটি বিষয়ে আপত্তি তুলে বিরোধিতায় অনড় ছিল কংগ্রেস। প্রথমত, সংবিধান সংশোধনী বিলেই জিএসটি-র হার সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশে বেঁধে দিতে হবে। যা কোনও ভাবেই মানতে রাজি ছিলেন না অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এ বার রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা আনন্দ শর্মা ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্দিষ্ট ভাবে করের হার বেঁধে দেওয়া না হলেও অন্য কোনও ভাবে জিএসটি-র করের হারকে গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা যেতে পারে। সরকার সেই বিকল্প প্রস্তাব কংগ্রেসের সামনে রাখলে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

মোদী সরকার জিএসটি নিয়ে কথা বলতে চাইলে কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভায় আনন্দ শর্মাকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এই মন্তব্যের পরে আজ মোদী সরকারের এক শীর্ষ ব্যক্তিত্বের বক্তব্য, ‘‘এই নতুন অবস্থানে অনেক বেশি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে কংগ্রেস। এ নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’ অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের মত, দেশের জিডিপি-র প্রেক্ষিতে করের হার ঠিক হতে পারে। নির্দিষ্ট হারের থেকে বেশি হলে জিএসটি পরিষদের সম্মতি লাগবে, এমনও বলে দেওয়া যেতে পারে।

গত বছরের নভেম্বর থেকেই কংগ্রেস জিএসটি-র হার ১৮ শতাংশে বেঁধে রাখা, শিল্পোন্নত রাজ্যগুলির জন্য বাড়তি ১ শতাংশ কর আদায় করা ও জিএসটি নিয়ে বিবাদ মেটানোর জন্য পৃথক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছে। জেটলির যুক্তি ছিল, কোনও ভাবেই জিএসটি চালুর
জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলে করের হার বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ কিছু ভোগ্যপণ্যের উপরে ১৮ শতাংশের থেকেও বেশি হারে কর বসাতে হতে পারে। তা ছাড়া করের হার বদলাতে হলেই ফের সংবিধান সংশোধনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

কিন্তু কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া রাজ্যসভায় জিএসটি বিল পাশ করানো যে সম্ভব নয়, তাও মোদী সরকারের জানা। সরকারের দাবি, অধিকাংশ দলই জিএসটি-র পক্ষে। কাজেই রাজ্যসভায় সরকার সংখ্যালঘু হলেও জিএসটি-র প্রশ্নে সরকারেরই পাল্লা ভারী। কিন্তু কংগ্রেস সদস্যরা সংখ্যায় কম হলেও হইহল্লা করে বিল আটকে দিতে পারেন। কারণ হট্টগোলের মধ্যে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানো সম্ভব নয়। তার জন্য ভোটাভুটি করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে ফের একান্তে আলোচনায় বসতে চান জেটলি।

অন্য বিষয়গুলি:

GST flexibility
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy