ছবি: সংগৃহীত।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে এমনিতেই চাপের মুখে হরিয়ানা বিজেপি এবং ওই রাজ্যে তাদের শরিক দল জেজেপি-র নেতারা। এ বার তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি করলেন হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী কুমারী শৈলজা। তাঁর কথায়, ‘‘শাসক ও শরিক দলের নেতা আর নির্দল বিধায়কদের অনেকে বাস্তব বুঝছেন। মানুষ এবং বিধায়কদের সমর্থন সরকার হারিয়ে ফেললে, অনেক কিছুই ঘটতে পারে।’’
প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেস কি তবে বিজেপি, জেজেপি বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে? শৈলজার উত্তর, ‘‘সরকারে শূন্যস্থান থাকতে পারে না। যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে সংবিধানের দাবি মতোই পদক্ষেপ করব।’’
হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের অবশ্য মন্তব্য, ‘‘কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, জানি। কংগ্রেস নেত্রীকে বলতে চাই, সতর্ক থাকুন।’’ কংগ্রেস নেতাদের দাবি, বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ভয়ে খট্টর অধিবেশন ডাকছেন না।
চলতি সপ্তাহে খট্টর দিল্লিতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সঙ্গে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌটালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন তিনি। খট্টর ও চৌটালা— দু’জনেরই দাবি, হরিয়ানা সরকারের বিপদ নেই। কিন্তু বিজেপি, জেজেপি সূত্র বলছে, বাস্তব আলাদা। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা এখন বিরোধী দলনেতা। তিনিও শাসক জোটের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
২০১৯ সালে হরিয়ানায় ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০টি জিতেছিল। কংগ্রেস ৩১টি। বিজেপি ১০টি আসনে জেতা জেজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ে। সমর্থন দেয় পাঁচ নির্দলও। কিন্তু কৃষক আন্দোলন শুরুর পরে জেজেপি-র ছয় বিধায়ক বিক্ষুব্ধ। এক নির্দল বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। দুষ্যন্ত নিজে গদি ছাড়তে চান না। কিন্তু তাঁর জাঠ ভোটব্যাঙ্ক দখল করতে আইএনএলডি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে দল ভেঙে জেজেপি গড়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy