কেরলে বন্দে ভারতে কংগ্রেস সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার! ছবি: সংগৃহীত।
গত মঙ্গলবারই সবুজ পতাকা নেড়ে কেরলের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চাকা গড়াতেই ‘হাইস্পিড’ ট্রেনের গতিকেও ছাপিয়ে গেল বিতর্কের ঘনঘটা। এ বার এক কংগ্রেস সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টারে ছয়লাপ হল বন্দে ভারত। প্রত্যাশিত ভাবেই কংগ্রেসের পোস্টার নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি।
বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনকে ঘিরে হালফিলের ভারত দেখেছে জমকালো সব অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নিজে হাতে পতাকা নেড়ে যাত্রাশুরু করছেন প্রতিটি ট্রেনের। একেও এক ধরনের রাজনৈতিক প্রচার হিসাবে অভিহিত করছে বিরোধীরা। অনুষ্ঠান ঘিরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাপাদাপিও দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। দক্ষিণের কেরলে সেই ট্রেন ঘিরে রাজনীতির অভিযোগে সরব হল বিজেপি! গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে।
মঙ্গলবার মোদীর হাতে উদ্বোধন করা কেরলের প্রথম বন্দে ভারতের যাত্রাপথ তিরুঅনন্তপুরম থেকে কাসারগোদ পর্যন্ত। দুই স্টেশনের মাঝে বন্দে ভারত থামছে কোল্লাম, কোট্টায়াম, এরনাকুলাম টাউন, ত্রিশূর, শোরানুর জংশন, কোঝিকোড এবং কান্নুর স্টেশনে। কিন্তু প্রথমে শোরানুর জংশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের থামার কথা ছিল না। পরবর্তী কালে স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ ভিকে শ্রীকান্দনের উদ্যোগে সেখানে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা হয় বলে কংগ্রেসের দাবি। তার পরেই সাংসদ শ্রীকান্দনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে তা লাগিয়ে দেওয়া হয় মোদীর ‘সাধের’ বন্দে ভারত ট্রেনে। যা দেখে ক্ষুব্ধ বিজেপি। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে। গেরুয়া শিবিরের আরও অভিযোগ, বিজেপির উন্নয়নে ভাগ বসাতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, শোরানুর জংশনে ট্রেন থামতেই প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। সেই সময়ই দেখা যায় ট্রেনের সর্বত্র লাগানো রয়েছে কংগ্রেসের সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার। বিষয়টি নজরে আসার পরেই আরপিএফ সেই পোস্টার খুলে নেয়। যদিও তাতে বিতর্ক ধামাচাপা পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy