পুলিশের ধরপাকড়। সোমবার শাহজহানপুরে। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ছাত্রীর সমর্থনে আজ মিছিল করার কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু সেই মিছিল করতে দিল না উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মিছিল রুখতে আটক করা হল কংগ্রেস কর্মীদের, গৃহবন্দি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের নেতা জিতিন প্রসাদকে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে যোগী সরকারের সমালোচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
আজই আদালতে চিন্ময়ানন্দ ও নির্যাতিতার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের তরফে রাতে জানানো হয়, তারা অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছে। রাতে চিন্ময়ানন্দকে শাহজহানপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় ওই আইনের ছাত্রীকে। তোলাবাজির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়াতে আজ শাহজহানপুর শহর থেকে লখনউ পর্যন্ত ১৮০ কিলোমিটার মিছিল করার কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু তার আগেই গৃহবন্দি করা হয় জিতিন প্রসাদকে। অন্তত ৮০ জন কর্মীকে আটক করা হয়। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। মিছিল আটকাতে শাহজহানপুর জেলার সীমানা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
মিছিল করতে না-দেওয়ার জন্য যোগী সরকারকে নিশানা করে রাহুলের টুইট, ‘‘মেয়েদের উপর যারা অত্যাচার করে, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার তাদের পাশে দাঁড়ায়। বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করছে।’’ এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কার টুইট, ‘‘শাহজহানপুরের নির্যাতিতার জন্য যাঁরা বিচার চাইছেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তারা অপরাধীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
জিতিন প্রসাদ দাবি করেন, মিছিলের কথা সকলেই জানতেন। কিন্তু গত কাল রাতে পুলিশ ওই মিছিলের অনুমতি বাতিল করে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেতাদের আটক করা হয়েছে। আমি গৃহবন্দি... আটক করা হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। বিজেপি সরকার কি মনে করেছে, এই মিছিল হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে?... সরকার মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।’’ পরে জিতিন টুইটারে লেখেন, ‘‘নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম বলে আমাকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আটক করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এখনও কাশ্মীর হয়ে যায়নি। ব্যক্তির মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য এই সরকারের বিবেক দংশনও নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy