প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুবোধকান্ত সহায়। দিল্লির যন্তর মন্তরে কংগ্রেসের ‘সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি পালনের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘‘হিটলারের পথ অনুসরণ করলে তাঁর মতোই মৃত্যু হবে মোদীর।’’ কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া তো এসেছেই, সুবোধের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আর এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বার বার ডেকে পাঠানোকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলে অভিযোগ করে সোমবার থেকে যন্তর মন্তরে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছে হাত শিবির। কেন্দ্রের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতাও কংগ্রেসের এই কর্মসূচির অন্যতম বিষয়। ওই মঞ্চে বক্তৃতা করতে গিয়েই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার) লুটেরাদের সরকার। মোদীই এখানে রিং মাস্টার এবং তিনি স্বৈরাচারী শাসকের মতো আচরণ করছেন। আমার কখনও কখনও মনে হয়, হিটলারকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন উনি। হিটলারও ‘খাকি’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন সেনার মধ্যে। মোদী যদি হিটলারের পথ অনুসরণ করেন, তা হলে তাঁর মৃত্যুও হিটলারের মতোই হবে। মনে রাখবেন।’’
কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবর দাস বলেন, ‘‘এই ধরনের অসাংবিধানিক মন্তব্য করা কংগ্রেসের অভ্যাস। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন সনিয়া গাঁধীও তাঁকে মওত কা সওদাগর বলেছিলেন। গুজরাতের মানুষ ওই মন্তব্যে খুবই আঘাত পেয়েছিলেন। ঠিক তার পরের নির্বাচনেই বিরাট জয় পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।’’
বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়ও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য কি কংগ্রেস প্রথম বার করল? কংগ্রেসের এই ধরনের মন্তব্যে তাদের হতাশাই প্রকাশ পায়। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আট বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখে ওদের হতাশা আরও বাড়ছে।’’
সুবোধের মন্তব্যকে সমর্থন না করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম টুইটারে লেখেন, ‘মোদী সরকারের স্বৈরাচারী ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যকে আমরা সমর্থন করি না। গাঁধীর (মহাত্মা গাঁধী) পথ অনুসরণ করেই আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy