রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই
তিন দশক আগে বিজেপির একতা যাত্রায় কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ১৯৯২-এর প্রজাতন্ত্র দিবসে।
নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির জাতীয়তাবাদের মোকাবিলায় এ বার রাহুল গান্ধীও আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারত জোড়ো যাত্রার শেষে কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে চাইছেন। এত দিন পরিকল্পনা ছিল, ওই যাত্রা ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কাশ্মীরে শেষ হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভারত জোড়ো যাত্রা আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর বিজেপি যখন কাশ্মীরের সমস্যার জন্য জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করছে, তখন রাহুল কাশ্মীরে গিয়ে তার জবাব দিতে পারেন।
৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ৩,৫৭০ কিলোমিটার যাত্রার ৮৬-তম দিন ছিল শুক্রবার। সাতটি রাজ্যের ৩৭টি জেলা পেরিয়ে এসে এখন যাত্রা মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়নীতে। এখনও প্রায় ১,১০০ কিলোমিটার পথ হাঁটা বাকি। আগেভাগে যাত্রা শেষ করতে প্রতি দিন কিছুটা বেশি রাস্তা হাঁটা হচ্ছে। এত দিন দৈনিক গড়ে ২০-২২ কিলোমিটার হাঁটা হচ্ছিল। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘আজ আমরা সকালে ও সন্ধ্যায় ১৪ কিলোমিটার করে মোট ২৮ কিলোমিটার হাঁটব। এই প্রথম এক দিনে এতটা রাস্তা হাঁটা হবে।’’
আগামী সপ্তাহ থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে, তবে রাহুল যাত্রা ছেড়ে অধিবেশনে যোগ দেবেন না। সংসদের কৌশল ঠিক করতে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠক আগামিকাল বসবে। মল্লিকার্জুন খড়্গে দলের সভাপতি হলেও আপাতত রাজ্যসভার দলনেতা থেকে যাবেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজ্যসভার দলনেতা সাংগঠনিক পদ নয়। উদয়পুর চিন্তন শিবিরে তৈরি ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি সভাপতির ক্ষেত্রে খাটে না। সভাপতি খড়্গের নেতৃত্বে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি তৈরি করতে ফেব্রুয়ারিতেই কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন ডাকা হতে পারে। রবিবার স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy