ভোটার তালিকার দিকে নজর রাখতে হবে এবং বুথ স্তরে ভোট পরিচালনার দিকে নজর রাখতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শোনা হবে জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের মত। পশ্চিমবঙ্গ, অসম-সহ ভোটমুখী রাজ্য এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ ছ’টি রাজ্য ও জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখের জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে আজ রাহুল গান্ধী বার্তা দিলেন, কংগ্রেসের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জেলা কংগ্রেস সভাপতিরাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক। তার জন্য তিনি এখন জেলা কংগ্রেস কমিটির ক্ষমতায়ন চাইছেন।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আজ ১৭ জন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বৈঠকে ছিলেন। রাহুল তাঁদের মধ্যে বীরভূমের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদের কাছ থেকে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানতে চান। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রদীপ প্রসাদ, সুমন পালের মতো বিভিন্ন জেলা কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ, অসমে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার পরের বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলিতে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।’’
পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আজ কংগ্রেসের প্রশিক্ষণের ভারপ্রাপ্ত সচিন রাও জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের বুঝিয়েছেন, কী ভাবে ভোটার তালিকায় নজর রেখে কারচুপি রুখতে হবে। পবন খেরা ও সুপ্রিয়া শ্রীনতে সংবাদমাধ্যম ও সমাজ মাধ্যমের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। জেলা স্তরে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করে এই নিয়ে তিন দফায় রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে গোটা দেশের সমস্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিন দিনে মোট ৮৬২ জন জেলা কংগ্রেস সভাপতি
বৈঠকে ছিলেন।
কংগ্রেস সাংগঠনিক কাঠামোয় রদবদল করে জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দিতে চাইছে। আগামী সপ্তাহে গুজরাতে এআইসিসি-র অধিবেশনে কংগ্রেস এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের দাবি। তাঁর বক্তব্য, এই অধিবেশনের মন্ত্র হতে চলেছে, ‘ন্যায়পথ, সঙ্কল্প, সমর্পণ, সংঘর্ষ’।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)