দিগ্বিজয় সিংহ। —ফাইল চিত্র।
বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের (ইভিএম) বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আগেও। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল দিগ্বিজয় সিংহের গলায়। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁর রাজ্যের বিজেপির নেতারা ভোটগণনার দু’দিন আগেই ‘ফল’ জেনে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার দিগ্বিজয় এক্স হ্যান্ডলে পোস্টে লেখেন, ‘‘চিপ বসানো যে কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র হ্যাক করা সম্ভব। ২০০৩ সাল থেকে আমি ইভিএমের বদলে পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কথা বলেছি। আপনারা কী মনে করেন, ভারতীয় গণতন্ত্র পেশাদার হ্যাকাররা নিয়ন্ত্রণ করুক?’’ বক্তব্যের সমর্থনে দু’টি স্ক্রিনশট শেয়ার করে দিগ্বিজয়। তাঁর দাবি, প্রথমটি ভোটগণনার দু’দিন আগে ১ ডিসেম্বর ফেসবুক পোস্টের। দ্বিতীয়টি ভোটের পরে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের।
ফেসবুক পোস্টের ছবিতে কয়েক জন বিজেপি নেতাকে একটি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট এবং জয়-পরাজয়ের হিসাব কষতে দেখা যাচ্ছে। ওই ছবির তলায় দিগ্বিজয় লিখেছেন, ‘‘এ বার আসল ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।’’ মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথও মঙ্গলবার ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখেছি, কয়েক জন বিধায়ক তাঁদের নিজেদের বুথে ৫০টি-ও ভোট পাননি! কী ভাবে সেটা সম্ভব হতে পারে?’’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে দিল্লিতে দলের ৮৪তম প্লেনারি সেশনে রাজনৈতিক প্রস্তাবে ইভিএম বাতিল করে ব্যালট চালুর দাবি জানানো হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘‘ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সন্দেহ, সংশয় দেখা দিয়েছে, তা দূর করতেই এই দাবি।’’ প্রস্তাবে দাবি করা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে আবার কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy