—প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গোটা দেশে ২৯০টি আসনে নিজের পুরো শক্তি দিয়ে একা লড়তে তৈরি। পাশাপাশি আরও ১০০টি-র মতো আসনে কংগ্রেস বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে লড়তে চাইছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ থেকে ৫টি আসন রয়েছে। এই আসনগুলিতে ইন্ডিয়া-র শরিক দল তৃণমূল ও বামেদের সমর্থন পেলে কংগ্রেস জিততে পারে বলে দলের নেতাদের মত। এখন সবটাই নির্ভর করছে শরিক দলগুলি কোথায় কতগুলি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হচ্ছে, তার উপরে।
যে সব রাজ্যে কংগ্রেস ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে লড়তে চায়, গত সপ্তাহে দু’দিন ধরে কংগ্রেসের জাতীয় জোট কমিটি সেই সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তার আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খড়্গে ও রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন। এই দুই দফা বৈঠকের ভিত্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব এ বার রাজ্য ধরে ধরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, দিল্লি, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, জম্মু-কাশ্মীরে ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলির সমর্থনে কংগ্রেস ১০০টি আসনে লড়তে চাইছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩ থেকে ৫টি আসন রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব আগেই বলেছে, তারা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের দখলে থাকা দু’টি আসন ছাড়তে রাজি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সমর্থন নিয়ে ৫টি, পঞ্জাবে ৮-৯টি আসনেও কংগ্রেস লড়তে তৈরি। অরবিন্দ কেজরীওয়াল এতগুলি আসন ছাড়তে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর সঙ্গে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সমর্থন নিয়ে ৯-১১টি, উত্তরপ্রদেশে ১০-১৫টি, বিহারে ৯-১০টি, মহারাষ্ট্রে ২৪-২৬টি, ঝাড়খণ্ডে ৯টি, জম্মু-কাশ্মীরে ৩টি আসনে কংগ্রেস আসন সমঝোতা করে শরিক দলের সমর্থনে লড়তে চাইছে। কংগ্রেস নেতারা মানছেন, এই ১০০টি আসনে শেষ পর্যন্ত কতগুলি জোট হবে, তা আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার পরেই স্পষ্ট হবে।
প্রাথমিক পর্যালোচনা অনুযায়ী কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, গোটা দেশে ২৯০টি-র মতো আসনে কংগ্রেস নিজেই লড়বে। সেখানে কোনও আসন সমঝোতা হবে না বা তার সুযোগও নেই। এই ২৯০টি-র মধ্যে আবার ১৯০টির মতো আসনে কংগ্রেসের কাছে লড়াই করার মতো যথেষ্ট ভাল প্রার্থী ও আর্থিক রসদ দলের কাছে রয়েছে বলে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের ধারণা। এই তালিকায় মূলত ১০টি রাজ্য রয়েছে। এর মধ্যে কর্নাটকের ২৮টি, তেলঙ্গানার ১৭টি, গুজরাতের ২৬টি, হরিয়ানার ১০টি, অসমের ১৪টি, অন্ধ্রের ২৫টি, ছত্তীসগঢ়ের ১১টি, মধ্যপ্রদেশের ২৯টি, রাজস্থানের ২৫টি, হিমাচলের ৪টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ওড়িশা, গোয়া, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যেও কংগ্রেস একাই লড়বে। কেরলে ইন্ডিয়া-র শরিক বাম দলগুলি থাকলেও সেখানেও কংগ্রেসকে একাই লড়তে হবে। এই ২৯০টি নিজের শক্তিতে ও ১০০টি আসনে শরিকদের সমর্থনে লড়াইয়ের পরে বাকি আসনে মূলত আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বিজেপি বা এনডিএ-র শরিক দলগুলির লডাই হবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ১৪ জানুয়ারি থেকে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ শুরু হচ্ছে। তার আগেই আসন সমঝোতা সেরে ফেলা হবে। মহারাষ্ট্র, বিহারের মতো রাজ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আজ এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে এনসিপি, কংগ্রেস, শিবসেনা কে কোন আসনে লড়বে, তা আগামী ১৪-১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমরা ঘোষণা করে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy