প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের মস্কো-নীতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলছেন, সেটাই ঠিক। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ মৈত্রীর ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। অন্য অংশের বক্তব্য, রাশিয়া বন্ধু ঠিকই। কিন্তু সেই বন্ধু যদি অন্যায় করে, তখন তাকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়াটাও কর্তব্য। মোদী সরকার সেটা করছে না। আবার এই সবের বাইরে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গোটা বিষয়টিকেই ভারতের ‘কৌশলগত বিপদ’ এবং চিনের আগ্রাসনের দিক থেকে দেখাতে চাইছেন।
বুধবার রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করার আর্জি। কংগ্রেসের একাংশের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখে চলাই বিধেয়। প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের বিদেশ সেল-এর প্রধান আনন্দ শর্মার বক্তব্য, “আমরা এই পরিস্থিতিতে একমাত্র নিজেদের গভীর উদ্বেগের কথাই জানাতে পারি। হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হোক, এটাই চাইতে পারি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, মানুষের শান্তি এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা। কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তা তৈরি করা। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েরই উচিত আলোচনার টেবলে ফিরে যাওয়া। যে কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তার কারণগুলিকে দেখা এবং পুরনো চুক্তিগুলিকে সামনে নিয়ে এসে কথা বলা।”
রাজনৈতিক শিবির বলছে, এটাই মোদী তথা ভারতের এই মুহূর্তের অবস্থান। যদিও রাহুল গান্ধী গত কালই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘সরকারের কৌশলগত ত্রুটির কারণে দেশ বিপদের মুখে।’ পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসনের বিষয়টিও এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে চেয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মণীশ তিওয়ারির আবার বক্তব্য, ভারতের একটা স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া এবং রাশিয়াকে সরাসরি তাদের ভুলের কথা বলা উচিত ছিল। তাঁর কথায়, “যখন বন্ধুরা ভুল করে, বন্ধুদেরই তো দায়িত্ব সেটাকে তার কাছে তুলে ধরার।” কংগ্রেসের লোকসভার নেতা এবং প্রাক্তন কূটনীতিক শশী তারুর বলছেন, রাশিয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। কড়া ভাষায় তার নিন্দা করা উচিত ভারতের। তাঁর কথায়, “ভারত সর্বদা সীমান্তের এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং বলপূর্বক অন্য দেশের জমি দখলের বিরুদ্ধে স্বর তুলেছে। রাশিয়া আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ঠিকই, এবং তাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কাও আমরা বুঝি। কিন্তু যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলিকে আমরা অনুসরণ করে এলাম, তার পতনকালে নয়াদিল্লির মুখ বুজে থাকা উচিত নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy