অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী মহাজোটের বৈঠকের দু’দিন আগেই দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টির পাশে থাকার বার্তা দিল কংগ্রেস। আজ সরাসরি আপের পাশে থাকার কথা না বললেও পরোক্ষ ভাবে কংগ্রেস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে মোদী সরকারের সব ধরনের আক্রমণের বিরোধিতা অতীতের মতোই ভবিষ্যতেও করবে কংগ্রেস। আসন্ন বাদল অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত ছাড়াও মণিপুর প্রশ্নে সংসদে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এ দিকে বেঙ্গালুরুতে হতে চলা বিরোধী দলগুলির বৈঠক সুষ্ঠু ভাবেই হবে এবং বিরোধী জোটে কোনও সমস্যা নেই বলে দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের। তিনি বলেন, ‘‘অল ইজ ওয়েল।’’
আগামী সোম-মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। ওই বৈঠকের আগেই দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। কংগ্রেস বৈঠকের আগে অবস্থান স্পষ্ট না করলে বৈঠক বয়কটের ডাকও দেয় আপ। ইতিমধ্যেই বাকি সব বিরোধী দল কেজরীওয়ালকে সমর্থন জানিয়েছে। এই আবহে কেজরীওয়াল বিরোধী জোটের বৈঠক বয়কট করলে তার যাবতীয় দায় কংগ্রেসের উপর এসে পড়ার আশঙ্কা ছিল। আজ তাই কংগ্রেসের সংসদীয় রণকৌশল সংক্রান্ত গোষ্ঠীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, এ প্রসঙ্গে অন্যান্য বিরোধী দলের মতোই আপের পাশে থাকবে কংগ্রেস। আজ বৈঠকের শেষে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘মোদী সরকারের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর চালানো হামলার অতীতেও বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। দল সংসদ ও সংসদের বাইরে এ ধরনের হামলার প্রতিবাদ ভবিষ্যতেও করবে।’’ সূত্রের মতে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে এ দিন সরাসরি আম আদমি পার্টির নাম নেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে দলের পক্ষে বলা হয়েছে, মোদী সরকার সংসদে ওই অধ্যাদেশ আনলে তার বিরোধিতা করবে কংগ্রেস। এ ছাড়া অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া এবং এ প্রসঙ্গে দলীয় নীতি ঠিক করতে আজ একটি কমিটি গঠন করেছে কংগ্রেস। সাত সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন পি চিদম্বরম, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কেটিএস তুলসী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে মণিপুর থেকে ব্রিজভূষণ কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন, তার দাবিতেও সরব হওয়ার কৌশল এ দিনের বৈঠকে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রমেশ বলেন, ‘‘এবিসি-এম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে নীরবতা রয়েছে, তা ভাঙুক এটাই কাম্য।’’ পরে ব্যাখ্যায় রমেশ বলেন, ‘‘আশা করছি, এ মানে আদানি, বি মানে ব্রিজভূষণ সি মানে চিন এবং এম মানে মণিপুর প্রসঙ্গে মুখ খুলবেন প্রধানমন্ত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy