ফাইল ছবি
শুক্রবারের রাজ্যসভা নির্বাচনে ঘোড়া কেনাবেচা ঠেকাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চলল কংগ্রেস ও বিজেপি শিবিরে। দুই দলই নিজের শিবিরের বিধায়কদের ভোটাভুটির আগে পর্যন্ত কার্যত কড়া নজরদারিতে বন্দি রেখে, অন্য শিবিরের থেকে ভোট ভাঙানোর চেষ্টা চালাল।
রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক— চার রাজ্যের ১৬টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনে শুক্রবার ভোটাভুটি। ৫৭টি আসনের মধ্যে বাকি ৪১টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজস্থান, হরিয়ানায় বিজেপির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী নামায় ও মহারাষ্ট্রে বিজেপি আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রার্থী দেওয়ায় ভোটাভুটি হবে। এই তিন রাজ্যে কংগ্রেস ও বিরোধী জোটের ভোটে ভাঙন ধরাতে চাইছে বিজেপি। কর্নাটকে আবার কংগ্রেস জেডি-এসের ভোট ভাঙিয়ে অতিরিক্ত এক জনকে জিতিয়ে আনতে চাইছে। সব দলই বিধায়কদের মুখ্য সচেতককে ব্যালট দেখিয়ে ভোট দেওয়ার কড়া নির্দেশ জারি করেছে।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস জোট সরকারের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, নবাব মালিককে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করার পরে তাঁরা এখন জেল বন্দি। আজ তাঁদের ভোট দিতে চেয়ে জামিনের আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই দুই বিধায়ক ভোট দিতে না পারলে শিবসেনার সঞ্জয় পওয়ার ও বিজেপির ধনঞ্জয় মহাডিকের মধ্যে লড়াইয়ের অঙ্ক বদলে যাবে। সব দলই বিধায়কদের মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে তুলেছে। হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের রিসর্টে রাখা হয়েছিল। তাঁদের বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এনে রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ় ভবনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাসে চাপিয়ে চণ্ডীগড় নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেনকে ভোট দেবেন কি না, সংশয় রয়েছে। রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদেরও শুক্রবারই উদয়পুরের হোটেল থেকে জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হবে। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রকে ভোট দেবেন না। বরং এক বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেবেন। বিজেপিও বিধায়কদের জয়পুরের বাইরে রিসর্টে আটকে রেখেছে। বিএসপি আজ সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে, তাঁদের দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বিধায়কদের বিএসপি-র কথা মতো ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। কিন্তু শুনানি হয়নি। কর্নাটকে আবার কংগ্রেসের দুই প্রার্থীকেই জেতাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জেডি-এসের বিধায়কদের চিঠি লিখে সমর্থন চেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াকে রাজ্যসভায় পাঠাতে সাহায্য করেছিল। দেবগৌড়া-পুত্র এইচ ডি কুমারস্বামী কংগ্রেসের দিকে ভোট ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছেন। এ হেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, চারটি রাজ্যেই বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে। পুরো ভোটপ্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy