—প্রতীকী চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্যে আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে মঙ্গলবার উপনির্বাচন। তার ঠিক আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ফের টাকা দিয়ে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কংগ্রেসের দলত্যাগী বিধায়ক সোমাভাই পটেলের গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে কংগ্রেসের অভিযোগ, সোমাভাই নিজেই স্বীকার করেছেন কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙাতে মাথা পিছু ১০ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপি।
গত জুন মাসে গুজরাতের রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের আট জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। তার জেরে কংগ্রেস চারটি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটি নিশ্চিত আসনে হেরে যায়। ওই আটটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ। বিজেপি কংগ্রেস ছেড়ে আসা আট জনের মধ্যে পাঁচ জনকে প্রার্থী করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে গুজরাতে গিয়ে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও গুজরাতে গিয়েছেন। বিজেপি সূত্র বলছে, উপনির্বাচন হলেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ গত বিধানসভা ভোটে গ্রামীণ গুজরাতের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস বিজেপিকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছিল। তার উপরে টানা ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।
এআইসিসি-তে গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব সতাভ সোমবার বলেন, মানুষের ক্ষোভের মুখে বিজেপি অন্য দলের বিধায়ক ভাঙাতে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। দুর্নীতির টাকাও কাজে লাগাচ্ছে। কংগ্রেস এর আগেও অভিযোগ তুলেছিল, দলের বিধায়ক অক্ষয় পটেলকে বিজেপি ২৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। তা শুনে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী বলেছিলেন, গোটা গুজরাত কংগ্রেসটাকেই ২৫ কোটি টাকায় কিনে ফেলা সম্ভব। এ বার গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে কংগ্রেসের দাবি, সোমাভাই পটেল নিজেই বলছেন, তাঁকে ও অন্য সাত বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী রূপাণী ও বিজেপি সাংসদ সি আর পাটিলের নামও তিনি উল্লেখ করেছেন বলে কংগ্রেসের দাবি।
আরও পড়ুন: ভোটের বিহারে আজ দ্বৈরথে মোদী-রাহুল
আরও পড়ুন: মোদী-চিনফিং তিন বার দেখা হবে নভেম্বরেই
সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের পাশাপাশি কংগ্রেসের দাবি, অমিত শাহ ও পাটিলের বিরুদ্ধে বিজেপির সাংসদ বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন ও আর্থিক নয়ছয় আইনে মামলা দায়ের করা হোক। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির প্রশ্ন, ‘‘বিজেপি এই অভিযোগের পরেও নীরব কেন? এই ভাবে দল ভাঙানো রুখতে আইনে সংশোধন দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy