বেঙ্কাইয়া নায়ডু।— ফাইল চিত্র।
ইউপিএ জমানায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে বিঁধতে একটি প্রবাদ ব্যবহার করত বিজেপি। সেটি হলো সিজারের পত্নীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। সেই প্রবাদই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফিরিয়ে দিল কংগ্রেস, উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে।
দু’দিন আগেই বেঙ্কাইয়ার বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। সেদিনই বেঙ্কাইয়া প্রতিটি অভিযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। দাবি করেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে অভিযোগ করছে কংগ্রেস। দুর্নীতিতে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই। কিন্তু আজ কংগ্রেস দাবি করে, বেঙ্কাইয়ার জবাবে আরও বেশি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বেঙ্কাইয়াকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে তাঁর দল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ চুপ কেন? যাঁকে তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী বাছাই করেছেন, তাঁকে আড়াল করতে একটি শব্দও কেন উচ্চারণ করলেন না মোদী? সংশয়ের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে তাঁকেও।
আজ সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা দাবি করেন, যে চারটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার একটিও অস্বীকার করেননি বেঙ্কাইয়া। বড়জোর বলেছেন, তাতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। আর অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু নথিই বলছে, বেঙ্কাইয়ার মেয়ের ট্রাস্টকে নিয়মের বাইরে গিয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে তেলঙ্গানায়। তাঁর ছেলের সংস্থাকে টেন্ডার ছাড়া গাড়ির বরাত দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সভাপতি থাকতে বেঙ্কাইয়া জমি দখল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা ফেরত দিতে হয়েছে। গরিবদের জন্য বরাদ্দ জমিও জবরদখল করার পরে বিতর্কের জেরে তা ফেরত দিতে হয়েছে।
কংগ্রেস এই বিতর্ক নিয়ে লাগাতার সরব হলেও আজ কলকাতা ফেরার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য তৃণমূলকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ নিয়ে মুখ না খুলতে। বিজেপির অনন্ত কুমার বলেন, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিচ্ছে। প্রতিটি অভিযোগের জবাব দেওয়ার পরেও একই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy