দিগম্বর কামাত।
রবিবার রাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছিলেন, গোয়ার দুই নেতা দিগম্বর কামাত ও মাইকেল লোবো বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যেতে চাইছেন। আজ দুই নেতাই দাবি করলেন, তাঁরা তো কংগ্রেসেই রয়েছেন!
তা সত্ত্বেও গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমিত পাটকর আজ দলের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকারের কাছে আর্জি জমা করেছেন। পাটকরের যুক্তি, ‘‘দলবিরোধী কাজে যুক্ত হওয়ার অর্থ, দলের সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়া। দিগম্বর কামাত ও মাইকেল লোবো নিজেরাই কংগ্রেসের সদস্যপদ ছেড়েছেন। তাঁরা কংগ্রেসের টিকিটেই বিধায়ক হিসেবে জিতে এসেছিলেন। তাই আমরা তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছি।’’ লোবোকে রবিবার কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।
পাটকরের বক্তব্য, ওই নেতারা কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। যাতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর না হয়। তাঁদের বিধায়ক পদ ছাড়তে না হয়। এখন তাতে সফল না হলে কংগ্রেসেই থেকে যাওয়ার দাবি করছেন। গোয়ায় কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়কের মধ্যে কামাত-লোবো সহ পাঁচ জন বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে কংগ্রেস নেতারা ধরে নিয়েছিলেন। কারণ, তাঁরা রবিবার কংগ্রেসের বৈঠকে যোগ দেননি। কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেনি। আজ পাঁচ জনই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে দাবি করেছেন, তাঁরা কংগ্রেসেই রয়েছেন। কামাতের দাবি, তিনিই বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। লোবোর দাবি, তিনি নিজেই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে যেতে চেয়ে কামাতকে ওই দায়িত্ব দিতে বলেছেন।
রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, আসলে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত ও সদ্য-অপসারিত বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবোর যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপিতেও বিরোধিতা শুরু হয়েছে। বিশেষত লোবোকে নিয়ে। কারণ, লোবো তাঁর স্ত্রীকে বিজেপি টিকিট দেয়নি বলে গোয়ার ভোটের আগেই সস্ত্রীক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। লোবো রবিবার রাতে গোয়ার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তের সঙ্গেও দেখা করেন। তারপরেও তাঁর ‘কংগ্রেসেই রয়েছি’ দাবি শুনে কংগ্রেস নেতাদের মত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও কামাত-লোবোদের বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেননি।
রবিবারই কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, কংগ্রেস বিধায়কদের কিনতে বিজেপি মাথা পিছু ৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। সবন্তের দাবি, তাঁর সরকারে ৪০ জনের বিধানসভায় ২৫ জনের সমর্থন রয়েছে। কেন বিজেপি বিরোধী দল কংগ্রেসের দল ভাঙাতে যাবে? কিন্তু গোয়ার ভারপ্রাপ্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, কর্নাটকের নেতা সি টি রবি আজ বলেছেন, ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কই বিজেপিতে যোগ দেবেন। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের বক্তব্য, ‘‘গোয়ার মানুষ বিজেপিকে সরকার গঠনের ও কংগ্রেসকে বিরোধী আসনে বসার রায় দিয়েছিল। কংগ্রেস সেই রায় মেনে নিয়েছে। বিজেপি মানতে পারছে না কেন? কারণ, বিজেপির স্বভাব সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব করায়ত্ত করা। গণতন্ত্রকে পিষে দেওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy