ছবি: সংগৃহীত।
বহিরাগত চিহ্নিত করার নামে মেঘালয়ের ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ‘কোমসো’ অবৈধ ভাবে আম জনতার পরিচয়পত্র পরীক্ষা ও ধরপাকড় চালাচ্ছে। ওই মঞ্চ ভেঙে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে। আর্জিটি জানিয়েছেন গায়ত্রী বরপাত্র গোঁহাই নামে অসমের এক মহিলা। শাহকে শুক্রবার লেখা চিঠিতে তাঁর বক্তব্য, কোমসোর এই কাজ করার কোনও সাংবিধানিক বা আইনি অধিকার নেই। তারা মানুষকে হেনস্থা করছে। আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। তাদের কাজকর্মের এনআইএ তদন্ত হওয়া দরকার।
চিঠির বিষয়টি জেনে ক্ষুব্ধ কোমসো। তাদের বক্তব্য, বিধানসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পরেও কেন্দ্র ইনারলাইন পারমিট (আইএলপি) চালু করছে না। তার মধ্যেই এমন চিঠি আইএলপি-র বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়া চেষ্টা। কোমসোর চেয়ারম্যান রবার্টজুন খারজারিন বলেন, “আমরা আইন হাতে তুলে নিইনি। পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বেচ্ছাসেবকরা পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন বিদেশি ও বহিরাগতদের মেঘালয়ে ঢুকিয়ে দ্বিতীয় ত্রিপুরা তৈরি করতে চাইছেন। এটা মেনে নেওয়া হবে না।”
এক দু’জন বেসুরো গাইলেও মেঘালয়ের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তাঁরাও মেঘালয়ে আইএলপি চালু করার লড়াইয়ে শরিক। রাজ্য বিজেপির সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি জানান, তাঁরা দিল্লি গিয়ে দলের সভাপতি জেপি নড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের সঙ্গে দেখা করে আইএলপি চালু করার দাবি জানাবেন। সম্প্রতি শাসক জোট এমডিএ-র প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে দেখা করলে, তিনি বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন বটে, তবে আইএলপি-তে সবুজ সঙ্কেত দেননি। এর মধ্যেই মেঘালয়ের বিজেপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী এ এল হেক উল্টো সুরে কথা বলেন। তাঁর মতে, রাজ্যের মাত্র ৩০ হাজার মানুষ আইএলপি-র পক্ষে। এতে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। যৌথ মঞ্চের দাবি, হেকের মতো লোকেরা আইএলপি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy