ফাইল চিত্র।
অভিযোগ উঠেছে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ হয়ে উঠেছে অসম পুলিশ। যদিও খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ তাদের পাশে দাঁড়ালেন। তাঁর সাফ কথা, ধর্ষণকারী বা অপরাধীর কোনও ধর্ম-জাতি নেই। পুলিশকে ভয় পেতে হবে। পালাতে গেলেই পুলিশের গুলি খেতে হবে।
গত দু’মাসে অসম পুলিশের গুলিতে ১২ জন মারা গিয়েছে। পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অন্তত ৭। গত কালও মাদক বিক্রেতাদের ধরতে অভিযান চালানোর সময়ে গুয়াহাটি পুলিশে হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিতে জখম হয় এক জন। বিরোধী দল পুলিশের এমন ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব। অভিযোগ উঠছে ‘পালাতে গিয়ে গুলিতে জখম’- এই ঘটনা অসম পুলিশের ছক হয়ে উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এমনটাই হওয়া দরকার। যারা অপরাধী, যারা পুলিশকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করবে তাদের বুকে নয় পায়ে গুলি করে কাবু করায় কোনও অন্যায় নেই। এমন পরিবেশ তৈরি করা দরকার যেখানে পুলিশের নাম শুনলেই অপরাধী ভয়ে হাত গুটিয়ে নেবে।”
কংগ্রেসের মুখপাত্র ববিতা শর্মার মতে, কড়া হাতে অপরাধ দমন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু অপরাধীদের বার্তা দিতে গিয়ে পুলিশের ‘ট্রিগার হ্যাপি’ হয়ে ওঠায় হিতে বিপরীত হতে পারে। বড় অপরাধী বা পাচারচক্রের প্রভাবশালী মাথার নাম ফাঁস হওয়া রুখতে গুলি করে ছোট অপরাধীর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। অনেক সময় নির্দোষ মানুষও পুলিশের গুলির শিকার হতে পারেন। তাই পুলিশকে গুলি চালানোর লাগামহীন ছাড়পত্র দেওয়া সভ্য সমাজে কাঙ্ক্ষিত নয় এবং তা বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার পরিচয়।
গুয়াহাটিতে আজ রাজ্যের ৩১৬ জন ওসিকে তলব করে কড়া ভাষায় অপরাধ দমন করার বার্তা দেন হিমন্ত। বলেন, “ধর্ষণের ধর্ম-জাতি নেই। ধর্ষণ, হত্যা, অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৬ মাসের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। অপরাধের বিরুদ্ধে নিতে হবে শূন্য সহনশীলতার নীতি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি নির্দেশ দিলেও কোনও অপরাধীকে ছাড়া যাবে না। ওসিরা স্বর্ণকার নন। সোনা উদ্ধার হলে অর্ধেক সোনা লুকিয়ে তা দিয়ে উপরওয়ালাকে আংটি বানিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy