শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তর ভারত। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর ভারত জুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী দিল্লি। পরিস্থিতি এমনই যে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জারি হয়েছে কুয়াশার সতর্কতা। সেখানে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে ৫০০ মিটারে। বাধ্য হয়ে প্রায় ৮৩টি বিমানের সময়সূচি বদলানো হয়েছে। আপাতত সতর্কতা মেনে সন্তর্পণে জারি রয়েছে বিমান পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার ভোরে নয়াদিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার থেকে রাজধানীর তাপমাত্রা আরও কমবে। তবে বাতাসের গুণমানে এখনও কোনও হেরফের হয়নি। বরং বুধবারের চেয়ে আরও কমেছে বাতাসের গুণমান সূচক। মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৭২, যা ‘খুব খারাপ’-এর পর্যায়ে পড়ে। আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৭২, অশোক বিহারে ৩৬২ এবং বাওয়ানায় ৩৭৬। ঘন ধোঁয়াশায় হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতাও। ভোরের দিকে শহরের কোনও কোনও জায়গায় দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারেরও নীচে নেমে গিয়েছে। বড়দিনের সকালেও এ রকমই ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকেছিল রাজধানী দিল্লি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে রাজধানী এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস, দক্ষিণ এক্সপ্রেস-সহ ২০টিরও বেশি দূরপাল্লার ট্রেনের সময়সূচি বদলাতে হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
একই চিত্র উত্তরের অন্যান্য রাজ্যেও। ২৭ তারিখ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে মৌসম ভবন। হিমাচলে ভারী তুষারপাতের জেরে ২০০রও বেশি সড়ক বন্ধ। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। তুষারপাতের বলি হয়েছেন অন্তত চার জন। বেশিরভাগ এলাকাতেই শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভোগান্তিতে পর্যটকেরাও। হরিয়ানাতেও কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। একই চিত্র জম্মু-কাশ্মীরেও। শ্রীনগরের তাপমাত্রা হিমাঙ্ক ছুঁয়েছে। বহু জায়গায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে গিয়েছে পারদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy