সংঘর্ষে আহত পড়ুয়া। মঙ্গলবার আমদাবাদে। ছবি: পিটিআই।
জেএনইউয়ের ঘটনার প্রতিবাদে আমদাবাদে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর বিক্ষোভে ফের হামলার অভিযোগ উঠল। এ বারও অভিযোগের তির সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র দিকে। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের উপর লাঠি, রড নিয়ে হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ঘটনার কিছু ভিডিয়োও সামনে এসেছে।
জেএনইউয়ের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমদাবাদের পালদি এলাকায় এবিভিপি-র দফতরের বাইরে আজ বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন এনএসইউআই-এর কর্মীরা। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের দাবি, তাদের দেখেই এবিভিপি ও বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। সেই সময়ে গুজরাত এনএসইউআই-এর সাধারণ সম্পাদক নিখিল সাভানিকে মাথায় লোহার রড দিয়ে মারা হয়। ওই ঘটনার ভিডিয়োও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাভানি কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেলের ঘনিষ্ঠ। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে, আমদাবাদের ভি এস জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, এবিভিপি-র আক্রমণের সময়ে পুলিশ হাজির থাকলেও তারা চুপ করে ছিল। সংবাদমাধ্যমের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছে, আমদাবাদে আজ দুই ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের লড়াইয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দুই ছাত্র সংগঠনের পক্ষেই পরস্পরের বিরুদ্ধে লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। দু’পক্ষেরই দাবি, তাদের পাঁচ জন করে কর্মী আহত হয়েছেন।
বিবৃতি দিয়ে এনএসইউআই বলেছে, এবিভিপি যে ভাবে তাদের উপর হামলা করেছে, তাতে ফাসিস্ত শক্তির বিরুদ্ধে গোটা দেশের একজোট হওয়া জরুরি। পুলিশের উপস্থিতিতে পূর্বপরিকল্পিত হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ভাবিক সোলাঙ্কি। পাল্টা অভিযোগ করে এবিভিপি সদস্য নরেশ দেশাই বলেন, ‘‘আমাদের দফতরে হামলা চালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এনএসইউআইয়ের সদস্যরা পতাকা হাতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরে পতাকা ফেলে সেই লাঠি দিয়ে এবিভিপি-র সদস্যদের মারতে শুরু করে তারা।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy