ছবি পিটিআই।
প্রার্থী সিপিআইয়ের। কিন্তু তাঁর নামের পাশে দলের প্রতীক হিসেবে রয়েছে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা। সিপিএমের প্রতীক নিয়ে তিনি কেন ভোটে লড়বেন, তা নিয়ে সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থী ফিরদৌস ফতিমা। শেষ পর্যন্ত আজ ভোট বাতিল হয়ে গিয়েছে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুরসভার ভোট হলে কী, হায়দাবাদে এ বার ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নড্ডা, প্রকাশ জাভড়েকর, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথের মতো বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাঁদের প্রচারেও উঠে এসেছিল অনুপ্রবেশের মতো বিষয়গুলি। তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি তো পাক অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। আর বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগও এনেছিল রাজ্যের শাসক দল টিআরএস। আজ পুরভোটের দিনে দু’দলের সমর্থকদের সেই উত্তেজনার প্রকাশও ঘটেছে কুকাটপাল্লী এলাকায়। ভোটের সময়ে সংঘর্ষ হয়েছে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৬.৭৩ শতাংশ। এত কম সংখ্যায় ভোট পড়ার জন্য আবার চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। ২০১৬ সালে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরশেনের নির্বাচনে ৪৫.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ বার তারকা প্রচারকদের কথা শুনে কিংবা রাজনীতির তুমুল তরজার মধ্যে অনেকে ভেবেছিলেন বেশি সংখ্যায় মানুষ ভোট দিতে বাড়ির বাইরে বেরোবেন। হয়েছে উল্টো। শহরাঞ্চলের মানুষ ভোট দিতে বিশেষ উৎসাহই দেখাননি।
হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে টিআরএসের ‘সমঝোতার’ কথা তুলে প্রচার করেছিলেন অমিত। আজ ওয়েইসির দলের বিধায়ক মুমতাজ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে বিজেপি। আর ওয়েইসি দাবি করেছেন, হায়দরাবাদকে যাঁরা পাল্টে দিতে চান, এ বার লড়াই হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy