Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
NEET Hearing in Supreme Court

‘এজলাস থেকে বার করে দিন’, নিট মামলার শুনানির সময় কেন প্রধান বিচারপতির নিশানায় আইনজীবী?

গত মার্চে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্বেও ওই আইনজীবী উচ্চস্বরে কথা বলায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, ‘‘এখানে চিৎকার করবেন না।’’

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৮
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে নিট-ইউজি শুনানির সময়, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করলেন এক সিনিয়র আইনজীবীকে। এমনকি, উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীদের আদালতের কক্ষ থেকে ওই আইনজীবীকে বার করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি!

প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার পরে অবশ্য ম্যাথুজ নেদুমপারা নামের ওই আইনজীবী স্বেচ্ছায় আদালত কক্ষ ছেড়ে চলে যান। নিট-ইউজি মামলার শুনানি চলাকালীন ওই আইনজীবী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করাতেই প্রধান বিচারপতি রুষ্ট হন বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত মার্চে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্বেও ম্যাথুজ উচ্চস্বরে কথা বলায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, ‘‘এখানে চিৎকার করবেন না।’’

মঙ্গলবার নিট-ইউজি মামলায় আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী নরেন্দ্র হুডার সওয়ালের মাঝে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ম্যাথুজ। সে সময় প্রধান বিচারপতি তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘‘আইনজীবী হুডার পরে আপনি বলার সুযোগ পাবেন।’’ কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে ম্যাথুজ দাবি করেন, তিনি সিনিয়র আইনজীবী, তাই তাঁকে আগে বলায় সুযোগ দিতে হবে। এর পরেই রুষ্ট চন্দ্রচূড় আদালত কক্ষে হাজির নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এঁকে বার করে দিন।’’

এর পর অতীতের উদাহরণ তুলে ম্যাথুজের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটাই প্রথম নয়, আপনি আগেও এমন আচরণ করেছেন।’’ প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় ‘যথাযথ’ পোশাক পরে আদালতে না আসায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীকে। দৃশ্যতই বিরক্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘আদালতে কি ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE