প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ১০টি বিমানে বোমাতঙ্ক! যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। কে বা কারা এই বোমাতঙ্ক ছড়ালেন তা এখনও অজানা। কিন্তু পর পর বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়চড়ে বসেছে কেন্দ্র। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বুধবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা (ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি)।
সোমবার এবং মঙ্গলবার, পর পর দু’দিন বেশ কয়েকটি ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হয়। মূলত, এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলকে ব্যবহার করেই ছড়ানো হয় এই বোমাতঙ্ক। তার মধ্যে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান এক তদন্তকারী অফিসার। ওই পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছি। সেগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’’ লন্ডন-সহ কয়েকটি দেশ থেকে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই তদন্তকারী অফিসার।
অতীতেও বেশ কয়েক বার বিমানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু বিমান নয়, ‘হাসপাতাল, ট্রেনও বোমা মেরে উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি পাঠানো হয়। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই তা ভুয়ো হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু সোমবার এবং মঙ্গলবারের এই বোমা হামলার হুমকির ঘটনাকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ বিমান নিরাপত্তা সংস্থা।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সাতটি ভারতীয় বিমানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হল। তার মধ্যে আমেরিকাগামী একটি উড়ান জরুরি অবতরণ করানো হয় কানাডায়। দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক উড়ান বোমা হামলার হুমকি পেয়ে কানাডার ইক্যালুইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে ফোন আসে। তড়িঘড়ি করে অযোধ্যা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানোর পরেও কোনও বোমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবের দামাম থেকে লখনউগামী ইন্ডিগোর বিমান একই ভাবে বোমার হুমকি পেয়ে জয়পুরে অবতরণ করে। দ্বারভাঙা থেকে মুম্বইগামী স্পাইসজেটের বিমান এবং শিলিগুড়ি থেকে বেঙ্গালুরুগামী আকাসা এয়ারের বিমানেও একই রকম হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সোমবার এমনই বোমা হামলার হুমকি পেয়েছিলেন তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানের কর্তারা। যা নিয়ে যাত্রী থেকে বিমানকর্মী— সকলের মধ্যেই ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy