সামনেই জামাইষষ্ঠী। সেই উপলক্ষে সপরিবার রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তা চলতি মাসের মধ্যেই সেরে ফেলা ভাল। ছবি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে তা-ও দেখে নেওয়া উচিত এ মাসের মধ্যেই। কারণ জুন মাস পড়ে গেলেই এ সবের জন্য দিতে হবে বাড়তি টাকা।
১ জুন থেকেই বাড়তে চলেছে রেস্তোরাঁর বিল। বাড়বে মোবাইল ফোনের বিলও। ছবির টিকিট থেকে লন্ড্রি, বিউটি পার্লার থেকে বিমা, ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটানো থেকে কেব্ল বা ডিটিএইচ পরিষেবা— সব কিছুরই খরচ বাড়তে চলেছে। কারণ এ সবের বিলের সঙ্গে যে পরিষেবা কর দিতে হয়, তা বাড়তে চলেছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেটেই পরিষেবা করের হার ১৪ শতাংশে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ১ জুন থেকে তা কার্যকর হতে চলেছে। এত দিন শিক্ষা সেস যোগ করে ১২.৩৬ শতাংশ হারে পরিষেবা কর দিতে হতো। এর ফলে বিমানের টিকিট, বিজ্ঞাপন, ট্যাক্সি পরিষেবা, ক্যুরিয়রের মতো পরিষেবার খরচও বাড়বে। আগে যে সব ক্ষেত্রে পরিষেবা কর দিতে হতো না, সেই বিনোদন পার্ক, জলসা, সার্কাস, নাচ-গানের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পরিষেবা কর চাপবে। বাদ থাকছে শুধু প্যাকেট করা ফল ও শাক-সব্জি।
একটি বিষয়ে অবশ্য স্বস্তির খবর রয়েছে। তা হল, নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প’-র জন্য বাড়তি সেস এখনই চাপছে না। বিশেষ কিছু পরিষেবায় স্বচ্ছ ভারত সেস নামে ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি কর চাপানোর ঘোষণা করা হয়েছিল বাজেটে। এর থেকে সরকারের বাড়তি আয় দেশকে জঞ্জালমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যবহার করা হতো। আজ অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এ বিষয়ে পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তখনই জানানো হবে, কোন কোন পরিষেবায় কী পরিমাণ বাড়তি সেস চাপবে।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, পরিষেবা কর ১৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার ফলে অভিন্ন পণ্য-পরিষেবা কর চালুর পথেও এক ধাপ এগোনো হলো। সাধারণ মানুষের পকেটে বাড়তি বোঝা চাপলেও পরিষেবা কর বাবদ সরকারের আয় প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়বে। গত অর্থ বর্ষে (২০১৪-’১৫) পরিষেবা কর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আয় হয়েছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০১৫-’১৬) তা বেড়ে ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে অর্থ মন্ত্রকের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy