২৬ বছর বয়সি এক যুবকের গলা চিনা মাঞ্জায় কেটে যায়। মৃত যুবকের নাম অভিষেক কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, সে পেশায় ব্যবসায়ী। ফাইল চিত্র।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ‘চিনা মাঞ্জা’র বিক্রি বা ব্যবহার কোনওটাই বন্ধ হচ্ছে না। খাস রাজধানীতেও রমরমিয়ে চলছে এই ঘুড়ির সুতোর কারবার। কিন্তু এই আইনি অসহযোগিতার দাম দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে দিল্লিতে। গত ২৫ জুলাই থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত ২০ দিনে দিল্লিতে তিন জন মারা গিয়েছেন। পুলিশের আশঙ্কা, চিনা মাঞ্জার ব্যবহারে রাশ টানা না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যু আগামী দিনে আরও বাড়বে।
গত বছর কলকাতায় মা ফ্লাইওভারের উপরেও ঘুড়ির সুতোয় পর পর দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে উড়ালপুলের দু’দিকে সুতো আটকানোর খুঁটি লাগাতে বাধ্য হয় প্রশাসন। দিল্লির ঘটনাগুলি অবশ্য কোনও একটি বিশেষ এলাকায় নয়, শহরের বিভিন্ন অংশ ঘটেছে। যার সাম্প্রতিকতমটির সাক্ষী দিল্লির মানসরোবর পার্ক এলাকায়।
দিল্লির এই ঘটনায় ২৬ বছর বয়সি এক যুবকের গলা চিনা মাঞ্জায় কেটে যায়। মৃত যুবকের নাম অভিষেক কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, সে পেশায় ব্যবসায়ী। একই ধরনের ঘটনায় গত ১১ অগস্ট দিল্লিতেই ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তার আগে ২৫ জুলাই ৩০ বছরের সুমিতের গলা কাটে ‘চিনা মাঞ্জা’ সুতোয়।
প্রসঙ্গত চিনা মাঞ্জা নাম হলেও আদতে এই সুতো চিনে তৈরি হয় না। চিন থেকে আমদানিও হয় না। কাচের গুঁড়োর পরতে মাখানো এই ঘুড়ির সুতো বানানো হয় ভারতেই। ২০১৭ সালে এই সুতোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। দিল্লির আইনও বলছে, ‘চিনা মাঞ্জা নামে পরিচিত কাচের পরত বা ধারালো ধাতব পরত দেওয়া সুতো ঘুরি ওড়াতে ব্যবহার করা যাবে না দিল্লিতে। নাইলন, প্লাস্টিকের মতো সিন্থেটিকের সুতোও ব্য়বহার করা যাবে না। এই ধরনের সুতোর বিক্রি, উৎপাদন এমনকি মজুতকরণ, বণ্টন, আমদানিও বেআইনি।’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম ভেঙেই রাজধানীতে ‘চিনা মাঞ্জা’র বেআইনি বিক্রি বাটা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy