এলএসি-তে ভারতীয় সেনা। ছবি: পিটিআই।
শুধু পূর্ব লাদাখ সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নেই চিনা ফৌজের অতি সক্রিয়তা। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-তেও পিপলস লিবারেশন আর্মির গতিবিধি বাড়ছে ক্রমশ। সম্প্রতি সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর এসেছে।
সেনা সূত্রের খবর, হিমাচলের কৌরিক গিরিপথ, পূর্ব অরুণাচলের ‘ফিশ টেল-১’ এবং ‘ফিশ টেল-২’ (মাছের লেজের মতো আকৃতির পাহাড় ঘেরা উপত্যকা বলে এমন নাম) অঞ্চলে এলএসি লগোয়া এলাকায় মোতায়েন চিনা সেনার সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র-সহ নানা ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক যান।
উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমের এলএসি লাগোয়া কিছু অংশেও বাড়তি সেনা এবং সরঞ্জাম মোতায়েন করছে পিএলএ। সেনার একটি সূত্রের দাবি, চিন অধিকৃত তিব্বতের বিভিন্ন সামরিক বিমানঘাঁটিগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেরও কাজ চলছে পুরোদমে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে দূষণ তীব্র, চিকিৎসকের পরামর্শে গোয়া চলে গেলেন সনিয়া
এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘মাস খানেক আগে আমাদের নজরে আসে, হিমাচলের কৌরিক গিরিপথ লাগোয়া চুরুপ গ্রাম ঘেঁষে চিনা সেনা রাস্তা বানাচ্ছে। বিষয়টি এলএসি সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা লঙ্ঘনের সামিল। উত্তরাখণ্ডের বরাহোতি উপত্যকার উত্তরে তুনজুম লা অঞ্চলে শিবির বানাচ্ছে তারা। এলএসি থেকে ওই এলাকার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার।’’
তিনি জানান, উত্তর সিকিম এলএসি লাগোয়া সাবু লা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে বড় টাওয়ার-সহ নানা আধুনিক যোগাযোগ ও নজরদারি সরঞ্জাম বসিয়েছে চিনা সেনা।
আরও পড়ুন: নয়া নামে ভারতে ফিরছে পাবজি, থাকছে না চিনা নিয়ন্ত্রণ
দক্ষিণ লাদাখের ডেমচক থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গার গুণসা বিমানঘাঁটির উপর নির্ভর করেই লাদাখের এলএসি-তে সেনা, রসদ এবং সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছয় পিএলএ বাহিনী। অদূরের শিকানহেতে রয়েছে তিব্বতে চিনা ফৌজের অন্যতম বড় শিবির এবং সামরিক সরঞ্জামের ডিপো। ইদানীং সেখানে জোরকদমে পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড সীমান্ত নজরে রেখেই এই তৎপরতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy