বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে করোনা, উদ্বেগে ভারতও। ফাইল ছবি।
চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে ভারতও। আবার কি শুরু হবে এই ভাইরাসের তাণ্ডব? অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার শুরু থেকেই পরিকল্পনা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যকে কী কী করতে হবে— তার বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য অতিমারি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য শীর্ষকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছেন।
চিনের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেলেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠায় ‘ইনসাকগে’। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইনসাকগ’ ভারতে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (স্ট্রেন) নিয়ে নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যকে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিল ও চিনে আচমকা করোনা বাড়বাড়ন্তের নিরিখে রাজ্যে রাজ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়া আরও দ্রুতগামী করতে হবে। যাতে করোনার রূপ (ভ্যারিয়েন্ট) এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা তৈরি করে রাখা সম্ভব হয়। আগামী দিনে নতুন কোনও রূপ বা প্রজাতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে রাখা যায়।
ভারতে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ তলানিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ১১২টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। যা সোমবারের তুলনায় অনেকটাই কম। সোমবার ভারতের সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৮১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩,৪৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন কেরলের বাসিন্দা, একজনের বাড়ি মহারাষ্ট্রে। এর ফলে ভারতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৭৭।
এ দিকে যখন করোনার বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কা করছে কেন্দ্র তখন তাতে লেগেছে রাজনীতির রংও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় কড়া ভাবে করোনাবিধি মানার আবেদন জানানো হয়েছে। টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের যাতে যাত্রায় অংশ নিতে না দেওয়া হয়, তারও আবেদন করেছেন মনসুখ। পাশাপাশি লিখেছেন, করোনা বিধি পালন যথাযথ ভাবে সম্ভব না হলে যেন যাত্রা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস নেতারা। একই চিঠি গিয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের কাছেও। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসের তরফেও। পবন খেরার দাবি, কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির উপর চাপ তৈরি করে যাত্রা বন্ধ করার কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। তার পিছনে মূল কারণ কোভিড-ভীতি নয়, মোদীর কংগ্রেস ভীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy