— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী দু’মাসের মধ্যেই মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ নীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ছত্তীসগঢ় সরকার। সূত্রের খবর, মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকায় পুনর্বাসন এবং তিন বছরের দক্ষতা-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শিবিরেরও (স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স) ব্যবস্থা করতে পারে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই মাওবাদী দমন বিষয়ে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁইয়ের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই আভাস দেওয়া হয়, মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। বৈঠকে অমিত জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নির্মূল হবে মাওবাদীরা। বৈঠকে মূলত মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকায় কেন্দ্র ও ছত্তীসগঢ় সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। মাওবাদীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণ নীতিতেও বদল আনা হবে বলে জানান অমিত শাহ।
এ বার সেই জল্পনাই আরও উস্কে দিলেন এক আধিকারিক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নয়া নীতিতে তিন বছরের জন্য মাসিক ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকায় পুনর্বাসন এবং তিন বছরের দক্ষতা-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হবে।
নতুন আত্মসমর্পণ নীতিতে মাওবাদী সংগঠনের রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা এবং নিম্ন পদের ক্যাডারদের এককালীন তিন লক্ষ টাকা অনুদানও দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও রাজ্যের তরফে এ সব পরিকল্পনা আগেও করা হয়েছে, তবে এ বার সেই পরিকল্পনাতেই কাঠামোগত নানা পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দন্তেওয়াড়া-বিজাপুর সীমানার জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ন’জন মাওবাদী। তারও আগের সপ্তাহে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারান তিন জন গ্রামবাসী। পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে হত্যা করা হয় তাঁদের। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ছ’হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। তবে সেই সংখ্যা এখন ৭০ শতাংশ কমেছে। আগামী দিনে মাওবাদকে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করাই এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy