Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Shipyard

ABG Shipyard: এসবিআই-সহ বহু ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ, দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি গুজরাতের সংস্থার

ব্যাঙ্কের তরফে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৯ সালের নভেম্বরে। পরের বছর মার্চে সিবিআই কিছু ব্যাখ্যা চায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৩৯
Share: Save:

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে এবিজি শিপইয়ার্ড এবং সংস্থার তিন ডিরেক্টর— ঋষি আগরওয়াল, সন্থানাম মুথুস্বামী ও অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে শনিবার মামলা রুজু করল সিবিআই। এটিই এ যাবৎ সব থেকে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলা বলে জানা গিয়েছে। জালিয়াতির মোট অঙ্ক ২২,৮৪২ কোটি টাকা।

এবিজি শিপইয়ার্ড এবিজি গ্রুপের অন্যতম সংস্থা। জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ মেরামতির সঙ্গে জড়িত। গুজরাটের দহেজ এবং সুরাটে তাদের কারখানা আছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)-সহ সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে তারা মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিল। এসবিআই-এর অভিযোগ, শুধু তাদের কাছেই সরাসরি ওই সংস্থার ঋণ আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি।

জানা যায়, ব্যাঙ্কের তরফে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৯ সালের নভেম্বরে। পরের বছর মার্চে সিবিআই কিছু ব্যখ্যা চায়। ওই বছরই অগস্টে নতুন করে অভিযোগ জমা হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে খতিয়ে দেখার পরে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইআর দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

এফআইআর-এ সিবিআই উল্লেখ করেছে, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তেরা যোগসাজশ করে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত নানা বেআইনি কাজ করেছেন। পুরোটাই ব্যাঙ্কের তহবিল ভাঙিয়ে বেআইনি ফায়দা করার লক্ষ্যে। হয়েছে তহবিল তছরুপ, তহবিলের অপব্যবহার এবং ঋণের টাকা অন্য উদ্দেশ্যে খরচ করে প্রতিশ্রুতির খেলাপ।

ওই সময়ে পণ্যের চাহিদা ও দর পড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ডামাডোলের আঁচ এসে লেগেছিল জাহাজ শিল্পে। এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে: এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু জাহাজ ও ভেসেলের চুক্তি বাতিল হওয়ায় ঘাটতি দেখা দেয় মূলধনের। বাড়তে থাকে মজুতের পরিমাণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র থেকেও বরাত আসছিল না। সব মিলিয়ে ঋণের কিস্তি মেটাতে সঙ্কটে পড়েছিল অভিযুক্ত সংস্থাটি।

অন্য বিষয়গুলি:

Shipyard bank fraud Money embezzlement
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE