পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী।
যদিও ভার্চুয়াল বৈঠক। তা-ও মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী। পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্য, বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াই শুরুর পরে এই প্রথম।
চন্নী সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যাওয়া নিয়ে কাব্যিক ভাবে ‘দুঃখপ্রকাশ’ করলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে ভাটিন্ডা থেকে ফেরার সময় রাজ্যের আধিকারিকদের বলেছিলেন, তিনি প্রাণে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে যেন ধন্যবাদ জানিয়ে দেওয়া হয়। চন্নী আজ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আপনার জন্য শুধু একটা শের বলতে চাই। তুম সলামত রহো কয়ামত তক অউর খুদা করে কি কয়ামত না হো।” অর্থাৎ, আপনি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত অক্ষত থাকুন। ভগবান করুন শেষের সেদিন যেন না আসে।
মোদী সরকার তথা বিজেপি চন্নী সরকারের দিকেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদীর জীবন সংশয় তৈরির নালিশ জানিয়েছিল। চন্নী আজ সে প্রসঙ্গে না গিয়ে বলেছেন, “আপনি আমাদের কাছে আদরণীয়। আপনি পঞ্জাবে এসেছিলেন। আপনার সফরের সময় যা ঘটেছে, তার জন্য আমি, আমরা দুঃখিত।” বিজেপির একাংশ অবশ্য একে গাফিলতি স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ বলেই ব্যাখ্যা করছে।
সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যাওয়া ও নিরাপত্তায় চ্যুতির ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু তার পরেও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বুধবার থেকে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার পরে হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর ও মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহান সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছিল। পঞ্জাবের ফিরোজপুরের সভায় যাওয়ার পথে গত ৫ জানুয়ারি কৃষক বিক্ষোভের জেরে টানা ১৫-২০ মিনিট আটকে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত সভা বাতিল করে দিল্লি ফিরতে হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy