বাঁ দিক থেকে বিজয় দেব, বিক্রমদেব দত্ত, অনুরাগ আগরওয়াল। ছবি: ফেসবুক।
বিমানের বিজনেস ক্লাসে যাতায়াত। বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রিবাস এবং দেদার খরচ। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে সরকারি সফরে গিয়ে সাধারণ মানুষের করের টাকায় এ সবই করেছিলেন তিন আইএএস আধিকারিক। ২০১৫ সালে খরচ করেছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। সাম্প্রতিক অডিট রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে সেই তথ্য। তার পরেই উঠেছে প্রশ্ন।
তিন আমলার বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। তাঁরা হলেন, বিজয় দেব (চণ্ডীগড় প্রশাসনের তৎকালীন উপদেষ্টা), অনুরাগ আগরওয়াল (চণ্ডীগড়ের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব), বিক্রমদেব দত্ত (পারসোনেল বিভাগের তৎকালীন সচিব)। সে সময় পঞ্জাবের গভর্নর কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি চণ্ডীগড়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
২০১৫ সালে প্যারিসের ফাউন্ডেশন ল কর্বুসিয়ের থেকে আমন্ত্রণ আসে চণ্ডীগড় প্রশাসনের কাছে। স্থাপত্যবিদ ল করবুসিয়েরের ৫০ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে সেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। ফরাসি-সুইস স্থাপত্যবিদ চণ্ডীগড়ের রূপকার ছিলেন। প্যারিস পাঠানোর জন্য চার জনের নাম সুপারিশ করে চণ্ডীগড় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদিও বিজয়, অনুরাগ এবং বিক্রমকেই যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়। তাঁদের ঘোরার পরিকল্পনাও পাশ করা হয়। অভিযোগ, একে অন্যের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিলেন তাঁরা।
চণ্ডীগড়ের অডিট জেনারেলের রিপোর্ট বলছে, চণ্ডীগড়ের প্রধান স্থপতিকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই তিন সচিব পর্যায়ের আমলা সাধারণ মানুষের করের টাকায় ঘুরে এসেছেন। তাঁদের সাত দিনের সফরের সব খরচ দিয়েছিল চণ্ডীগড় প্রশাসন। পাঁচ দিনের বেশি বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং কমিটির ছাড়পত্র লাগে। অভিযোগ, ওই তিন আমলা কমিটির ছাড়পত্র ছাড়াই সাত দিনের সফরে গিয়েছিলেন। এক এক জন আমলার বিজনেস ক্লাসে যাতায়াতের খরচ পড়েছিল এক লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। আরও অভিযোগ, প্রথমে ২০১৫ সালের ১২ থেকে ১৮ জুনের জন্য প্যারিসের একটি হোটেল বুক করা হয়েছিল। পরে তা বদলে প্যারিসের ল রয়্যাল মনসোতে ঘর বুক করা হয়। তার জন্য অতিরিক্ত ছ’লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল চণ্ডীগড় প্রশাসনকে। আরটিআই থেকে জানা গিয়েছে, প্রথমে তিন জনের সফরের খরচের জন্য ১৮ লক্ষ টাকার ছাড়পত্র মিলেছিল। যদিও সফরে খরচ হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। সফরের এক মাস পরে তিন আমলা পরস্পরকে অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন দিয়ে দেন। বাকি টাকাও পেয়ে যান তিন জনই।
তিন জনের মধ্যে দুই আইএএস আধিকারিকের বদলি হয়েছে। এক জন অবসর নিয়েছেন। বিক্রম এখন বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএর ডিরেক্টর জেনারেল। অনুরাগ হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তিন জনেই কেউই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy