ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি। পথে মহিলারা। — ফাইল চিত্র।
সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সকাল ১০টায় কলকাতার বিমানবন্দর থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা তাঁর। সূত্রের খবর, আগের সপ্তাহে জাতীয় মহিলা কমিশনের যে প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি গিয়েছিল, তার সদস্যেরা সকলেই থাকছেন রেখার সঙ্গে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটে সন্দেশখালিতে। গ্রামের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সামনের সারিতে ছিলেন মূলত মহিলারা। সেই সময়েই স্থানীয় মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সন্দেশখালি যান জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। সন্দেশখালির হালদারপাড়া, পুকুরপাড়া ও লস্করপাড়ার মহিলাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে বলা হয়, সন্দেশখালি থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের একটি ভয়ঙ্কর প্রবণতা প্রকাশ্যে এসেছে। নির্যাতিতাদের যাতে দ্রুত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তার দাবিও জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের কথায়, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা অনেক কিছু বলে দিচ্ছে। কমিশন এ ব্যাপারে আরও গভীরে যেতে চায়। কমিশন পূর্ণ তদন্ত এবং দোষীদের কড়া শাস্তি চায়।’’ ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সন্দেশখালি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হন রেখা। তিনি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে জাতীয় মহিলা কমিশন ধিক্কার জানায়। যৌন হেনস্থার জন্য পুলিশ এবং তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’’ রেখা এও জানান, জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে পুলিশের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবারই জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছিল পরের সপ্তাহে আবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকের সঙ্গেও তারা কথা বলতে চায় বলে জানিয়েছিল। সেই মতো সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল।
গত সোমবার সন্দেশখালি গিয়েছিল রাজ্যের মহিলা কমিশন। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের কমিশনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, এমন কোনও মহিলাকে পাওয়া যায়নি যিনি প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। এর পরেই সন্দেশখালিতে যে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে রাজ্য পুলিশের তরফে ১০ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। গত মঙ্গলবার দলটি সন্দেশখালি গিয়েছিল। তাদের তরফে জানানো হয়, দিনভর গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রাথমিক ভাবে ‘ধর্ষিতা’ কারও দেখা পাননি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যেরা। সোমবার ফের সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল। নেতৃত্বে থাকছেন চেয়ারপার্সন রেখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy