রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্য়ানন্দ। ছবি: পিটিআই।
গত ৫ বছরে ৬১০ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতেরপ জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে উপত্যকায়। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বিজেপির মহেশ পোদ্দারের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে ৬১০ জন আবেদনকারীর (অভিবাসী) জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’’
আশির দশকের শেষপর্ব এবং নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সন্ত্রাসের জেরে যে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেরই সম্পত্তি বেদখল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যসভায় নিত্যানন্দ জানান, ১৯৯৭ সালের ‘জম্মু ও কাশ্মীর অভিবাসী স্থাবর সম্পত্তি (সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিক্রি নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী জেলাশাসকের পণ্ডিতদের সম্পত্তির আইনি অভিভাবক। বিষয়টি তত্ত্বাবধানের জন্য তাঁদের আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠনগুলি উপত্যকায় ছেড়ে আসা জমি পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। প্রায় ৭০ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতের উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ৩২তম বর্ষপূর্তি হয়েছে গত ১৯ জানুয়ারি। সে সময়ও একই দাবি তোলা হয়েছিল।
উপত্যকায় এখনও প্রায় ৬৫০টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের বাস। সরকারি নথি বলছে, ১৯৯৭ সালে সংগ্রামপোরা, ১৯৯৮ সালে ওয়ানধামা, ২০০৩ সালে নান্দিমার্গের হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সাম্প্রতিককালেও জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy