প্রতীকী ছবি।
ভোটমুখী ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পেট্রল এবং ডিজেলের উপর কর ছাঁটতে পারে কেন্দ্র। এক সরকারি সূত্র মারফৎ এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, কর ছাঁটার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনাও করেছে কেন্দ্র।
পেট্রোপণ্য এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে বিরোধী দলগুলি। সামনেই কেরল, তামিলনাড়ু, অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পুদুচেরিতে ভোট। ভোটবাক্সে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সে কথা মাথায় রেখেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত কয়েক মাস ধরে পেট্রল, ডিজেলের দাম হু হু করে বেড়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে পেট্রলের দাম ১০০ ছাড়িয়েছে। ডিজেলের দামও ৮০-র গণ্ডি টপকেছে। মেট্রো শহরগুলোতেও আকাশছোঁয়া দামে পৌঁছেছে এই দুই জ্বালানির দাম। ফলে আম জনতার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিশেষ করে ভোটমুখী রাজ্যগুলোতে জ্বালানি তেলের উপর কর ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর রাজস্ব আয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল পেট্রল এবং ডিজেলের উপর চাপানো কর। কিন্তু কোভি়ড পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে এই ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব বাড়ানো প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে রাজ্যগুলোর। এই দুই জ্বালানির উপর চাপানো কর থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বার্ষিক রাজস্ব আসে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকার।
বিশ্ব জুড়ে যখন লকডাউন পরিস্থিতি চলছিল, গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল পিছু অশোধিত তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। উৎপাদনের তুলনায় চাহিদাও কমে গিয়েছিল। তখন ‘ওপেক’-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী তেলের জোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব এসে পড়েছে পেট্রল এবং ডিজেলের দামের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy