বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারত আলম বাট। — ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারত আলম বাটের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগ (এমএ) বা এমএলজেকে-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার কারণেই এমএলজেকের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমএলজেকে কাশ্মীর উপত্যকার ভারতবিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী প্রচারে লিপ্ত। তারা জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায়।’’ এমএলজেকের নেতা-কর্মীরা ধারাবাহিক ভাবে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, এমএলজেকে যে বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছে তা জম্মু ও কাশ্মীরের অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মুসলিম লিগ জম্মু-কাশ্মীর (মাসারত আলম গোষ্ঠী) এমএলজেকে (এমএকে)-কে ইউএপিএ ধারায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠন আর তার সদস্যেরা দেশবিরোধী কাজে জড়িত এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণকে প্ররোচিতও করে।’’
জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতা মাসারত ২০১০ সালে মিছিলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় ভারতীয় সেনার উপর পাথর ছোড়ায় প্রকাশ্যে উস্কানি দিয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকার গড়ার পর মুক্তি দিয়েছিল তাঁকে। ২০২১ সালে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মুক্তির পরে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান হয়েছিলেন মাসারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy