প্যাকেটজাত খাবারে জিএসটি সামান্য বাড়ানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে তৈরি কমিটিতেও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ফাইল চিত্র।
এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী। পেট্রল-ডিজ়েলের সঙ্গে রান্নার তেলের দামও বাড়ছে। তার মধ্যেই জিএসটি পরিষদ ১৪৩টি পণ্যের উপরে জিএসটি বাড়াতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠল। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির মতামত চাওয়া হয়েছে বলে দাবি ওঠায় আজ কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে জানানো হল, এমন কোনও প্রস্তাব নেই। ১৪৩টি পণ্যে জিএসটি বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছে মতামত চাওয়া হয়নি। এর মধ্যে সিংহভাগ পণ্যে জিএসটি-র হার ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করারও কোনও প্রস্তাব নেই।
জিএসটি থেকে আয় বাড়ানো নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের মধ্যে চিন্তাভাবনা চলছে। কী ভাবে জিএসটি ব্যবস্থায় করের হার পরিবর্তন করে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে গত বছর কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন হয়েছে। এখন জিএসটি-তে ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ, এই চারটি হারে বিভিন্ন পণ্যের উপরে কর আদায় হয়। কংগ্রেস আজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে অভিযোগ তুলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৪৩টি পণ্যে জিএসটি বাড়াতে চাইছে। এর মধ্যে পাঁপড়, গুড়, মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ঘড়ি, হাতব্যাগ, সুগন্ধী, ছোট রঙিন টিভি, চকলেট, চ্যুইং গাম, নরম পানীয়, সেরামিকের সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, রোদচশমা, চশমার ফ্রেম, চামড়ার পোশাক রয়েছে।
সরকারি সূত্রে অবশ্য দাবি, এমন কোনও প্রস্তাব নেই। রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে মতামতও চাওয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এখন যে সব খাদ্যপণ্য প্যাকেটবন্দি নয়, সে ক্ষেত্রে জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়। রাজস্ব আয় বাড়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে সব পণ্যে জিএসটি-র হার ৫ শতাংশ, সেখানে করের হার কমিয়ে ৩ শতাংশ করে বাকি পণ্যে ৮ শতাংশ জিএসটি চাপানোর ভাবনাচিন্তা রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবারে জিএসটি সামান্য বাড়ানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে তৈরি কমিটিতেও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy