প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
কোয়ান্টাম-ক্ষমতাশালী হওয়ার লক্ষ্যে মোদী সরকার আজ ‘জাতীয় কোয়ান্টাম মিশন’ ঘোষণা করল।
নতুন যুগের এই প্রযুক্তি গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৬,০০৩ কোটি টাকার প্রকল্পে ছাড়পত্র দিয়েছে। লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১০০ কিউবিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার গড়ে তোলা। যা বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটারের তুলনায় বহু গুণ দ্রুত গতিতে কাজ করবে। বর্তমানে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি নিয়ে মাত্র ছ’টি দেশ গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ করছে। আমেরিকা, চিন, কানাডা, ফ্রান্সের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছে অস্ট্রিয়া ও ফিনল্যান্ড।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কী? সহজ ভাষায়, এখন যে কম্পিউটার পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবথেকে ক্ষমতাশালী কম্পিউটারের থেকেও বেশি ক্ষমতা। এই প্রযুক্তির সাহায্যে এমন কম্পিউটার বা যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যা ‘হ্যাক’ করতে তিন লক্ষ বছর সময় লেগে যাবে। এই প্রযুক্তিতে কম্পিউটার আরও নিখুঁত ভাবে, নিরাপদে এবং অবশ্যই অনেক দ্রুত গতিতে যে কোনও তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করতে পারবে। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় ১০০ লক্ষ কোটি গুণ দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবে। পরীক্ষাগারে কোন রাসায়নিকের সঙ্গে কী মেশালে কী ফল মিলবে, তা-ও আগেভাগে বলে দিতে পারবে। যা সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষমতার বাইরে।
২০২০ সালের বাজেটে মোদী সরকার প্রথম কোয়ান্টাম মিশনের লক্ষ্যে পাঁচ বছরের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করেছিল। সে সময় কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অনেক শীর্ষকর্তারই মত ছিল, কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে সরকারি খরচ করা যথেষ্ট ঝুঁকির। তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল না-ও মিলতে পারে। কিন্তু একইসঙ্গে সরকারি কর্তাদের মত ছিল, এই প্রযুক্তির গবেষণায় খরচ করতেই হবে। না হলে চিরকালই কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য পশ্চিমের দেশগুলির উপরে নির্ভর করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy