Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Government

কুৎসা রটাচ্ছে কেন্দ্র, সরব তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গের নাম না-করে গত কাল কেন্দ্র বলেছিল, কিছু রাজ্য প্রকৃত তথ্য দেরিতে জানানোয় এক দিনে মৃত ও সংক্রমিতের সংখ্যা বেনজির ভাবে বেড়ে যায়।

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ।—ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৫:০৪
Share: Save:

করোনা-প্রতিরোধে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করল তৃণমূল। এমনকি ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়ে মোদী সরকার রাজ্যের হিসেব গুলিয়ে দিতে চেয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন দলের নেতারা। তুলেছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও।

পশ্চিমবঙ্গের নাম না-করে গত কাল কেন্দ্র বলেছিল, কিছু রাজ্য প্রকৃত তথ্য দেরিতে জানানোয় এক দিনে মৃত ও সংক্রমিতের সংখ্যা বেনজির ভাবে বেড়ে যায়। আবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, রাজ্য কোনও তথ্য গোপন করেনি। এই পরিস্থিতিতে আজ তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং চিকিৎসক-সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ভিডিয়োয় সাংবাদিক বৈঠক করেন। সুদীপ বলেন, ‘‘তথ্য গোপনের অভিযোগ ভুয়ো। গোড়ায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছিল। পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করা হয়। রাজ্য তো করোনা ডেকে আনেনি, যে লুকোবে।’’

সুদীপ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে সব সময়েই নিশানা করার চেষ্টা থাকে। আবার তা শুরু হয়েছে।’’ একই সুরে কাকলি বলেন, ‘‘করোনা-পরীক্ষার ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানোয় সমস্যায় পড়েছে রাজ্য। তা হলে কি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হিসেব গুলিয়ে দেওয়া?’’ তাঁর বক্তব্য, একশো কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতালের উপরে ফুলের পাপড়ি ফেলা হয়েছে। ডাক্তারেরা পিপিই চাইছেন, ফুল নয়।

আরও পড়ুন: সীমান্তে পণ্য ছাড়ুন, বঙ্গকে ফের পত্রাঘাত

তৃণমূল নেতাদের যুক্তি, সব রাজ্যে একই ভাবে করোনা ছড়াচ্ছে না। কেন্দ্রীয় দল বলেছিল, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বাধিক। এই প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা ক্রিকেট ম্যাচ নয় যে, রোজ তুলনামূলক স্কোর বোঝা যাবে। গুজরাতে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হলে সংশ্লিষ্ট সচিবের পদোন্নতি আটকে যাবে।’’ মোদী সরকার ‘সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের সময়ে গুজরাতে এসি বাসে লোক আনা হয়েছিল। অথচ শ্রমিকেরা হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। ভাড়া চাইছে রেল। এ দিকে, পিএম-কেয়ারস তহবিলে রেলের দেওয়া দেড়শো কোটি টাকার কোনও হিসেব নেই।’’

আরও পড়ুন: ‘বিপদ বুঝলেও আম আদমির কথা ভাবেননি মোদী’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy