ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার ওই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে সংক্রমণের পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতে সংক্রমিতের সংখ্যা ফের ঊর্ধ্বমুখী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯০। তবে তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে কোভিডে আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৮ হাজার ৩৩৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর পরেই রয়েছে কেরল। ওই রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭১ জন। অন্য দিকে, পঞ্জাবে ৬২২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৬টি জায়গায় ১৬ হাজার ৪৮৮ জন নতুন করে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘‘৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ফের দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।’’
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং কেরলে কোভিড রোগীর পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিন্তা বাড়াতে শুরু করেছিল। তবে গত দু’সপ্তাহে সেই প্রবণতায় বদল ঘটেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘গত দু’সপ্তাহে কেরলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিম্নমুখী হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কেরলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৮৪৭। তবে শনিবার তা কমে হয়েছে ৫১ হাজার ৬৮৯। অন্য দিকে, ওই একই সময়ের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেড়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই রাজ্যে ৩৪ হাজার ৪৪৯ জন সক্রিয় রোগী ছিল। তবে শনিবারের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে তা বেড়ে হয়েছে ৬৮ হাজার ৮১০।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy