সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লখনউয়ে। ফাইলচিত্র। পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সম্পূর্ণ ভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে দুই কক্ষে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতেই এই আইন প্রণয়ণ করা হয়েছে। সিএএ-র বিরুদ্ধে আনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবের জবাবে এমনটাই জানাল ভারত। সরকার আরও জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয় সিএএ। প্রতিবেশী দেশগুলোর নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা এবং তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন।
রবিবার সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয় ইইউ। সিএএ নিয়ে ভারত সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে ওই দিন ছ’টি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে ইইউ-এর অধিকাংশ সদস্য। ৭৫১ সদস্যের মধ্যে ৬২৫ জনই সিএএ-র বিরোধিতা করেন। প্রস্তাবে সিএএ-কে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘ভয়ানক বিভাজনকারী’ বলেও উল্লেখ করা হয়। ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করে, সঠিক পদক্ষেপ না করে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে ভারত সরকার। এটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। শুধু তাই নয়, খসড়া প্রস্তাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গটিও তুলে ধরে ভারত সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সিএএ-কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। পাল্টা তাদের প্রতিক্রিয়া, এটা কোনও বৈষম্য নয়। ইউরোপও এমন পথে হেঁটেছে। তাই এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলেই জানিয়েছে ভারত। সামনেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে ভারতের যোগ দেওয়ার কথা। তার আগে সিএএ নিয়ে ইইউ-এর সরব হওয়ার বিষয়টি ভারতকে চাপে ফেলল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: দেনায় জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০% মালিকানা বিক্রির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: ভোটের আগে রাজপথে অস্ত্রের ঢালাও প্রদর্শনী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy