Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Parliament Security Breach

পোড়া মোবাইল, জুতো— রাজস্থানে ললিতের ‘ডেরা’ থেকে আর কী খুঁজে পেল দিল্লি পুলিশ?

সংসদ হানার দিনেই দিল্লি থেকে সোজা রাজস্থানে চলে গিয়েছিলেন ললিত ঝা। তাঁর কাছে ছিল বাকিদের মোবাইল ফোন। ললিত জেরার মুখে সেগুলি পুড়িয়ে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন।

Burnt parts of Parliament intruders’ mobile phones and other things were found in Rajasthan

(বাঁ দিক থেকে) রাজস্থানে উদ্ধার পোড়া মোবাইল। সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। অন্যান্য পোড়া দ্রব্য।ছ ছবি: এক্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৯
Share: Save:

সংসদ হানার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝা ঘটনার পর দিল্লি থেকে সোজা চলে গিয়েছিলেন রাজস্থানে। যাঁরা এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সকলের মোবাইল ফোন ছিল তাঁর কাছেই। রাজস্থানে গিয়ে তিনি সেই মোবাইলগুলি ভেঙে পুড়িয়ে ফেলেন। সেই পোড়া মোবাইল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

ললিত পুলিশি জেরার মুখে আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর সঙ্গীদের মোবাইল ফোন প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে ফেলেছেন। রাজস্থানে গিয়ে সেই বয়ানের সত্যতা যাচাই করেছে দিল্লি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, রাজস্থানে যেখানে গিয়ে ললিত গা ঢাকা দিয়েছিলেন, সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া মোবাইল ফোনের অংশ। মোবাইলগুলি প্রথমে তিনি ভেঙে ফেলেন। তার পর তার অংশবিশেষে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া, বেশ কিছু পোড়া কাপড় এবং জুতোও পেয়েছে পুলিশ।

শনিবার সংসদ হানার ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহেশ কুনাওয়াত নামের ওই যুবক গোটা পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। তিনিও ললিতের সঙ্গে রাজস্থানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আবার দিল্লিতে ফিরে আসেন। ললিত থানায় আত্মসমর্পণ করলেও তিনি সে দিন ধরা দেননি। শনিবার মহেশকেও সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত।

সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপ দেন। ‘স্মোক ক্র্যাকার’ বা রংবোমা ছিল তাঁদের কাছে। তা দিয়ে সভাকক্ষের চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের ধরে ফেলা হয়। সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার হন আরও দুই অভিযুক্ত নীলজ আজাদ এবং অমল শিন্ডে। প্রত্যেককেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তিনিই গোটা ঘটনা পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy