নিহত নিশা নাপিত। — ফাইল ছবি।
আমলা স্ত্রীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নিজে কোনও কাজ করতেন না। অভিযোগ, খুনের প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, সার্ভিস বুকে স্বামীকে নমিনি না করাতেই তিনি চটে গিয়েছিলেন। দিন্দোরি জেলার শাহপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট নিশা নাপিতকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী মণীশ শর্মাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য স্ত্রীর রক্তমাখা জামাকাপড় কেচে ফেলেন মণীশ। আমলার বাড়ির ওয়াশিং মেশিনে চাদর, বালিশের কভারও পেয়েছে পুলিশ। নিশার বোন নিলীমার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে।
একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নিশার সঙ্গে মণীশের পরিচয় হয়েছিল। ২০২০ সালে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। নিশার বোন নিলীমার দাবি, তাঁদের পরিবার বিয়ের বিষয়ে কিছু জানতেন না। বিয়ের পরে জেনেছিলেন। নিলীমা এও অভিযোগ করেছেন, টাকার জন্য তাঁর দিদিকে অত্যাচার করতেন মণীশ। নিশার কোনও অসুস্থতা ছিল না। তাঁর মৃত্যুর পর ঘরে পরিচারিকাকেও ঢুকতে দেননি মণীশ।
রবিবার বিকেল ৪টের সময় নিশাকে হাসপাতালে নিয়ে যান মণীশ। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। মণীশ দাবি করেন, তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। শনিবার রাতে উপোস করেছিলেন। মণীশ আরও বলেন, ‘‘শনিবার রাতে তিনি বমি করেন। তার পর কিছু ওষুধ দেওয়া হয়।’’ রবিবার সকাল ১০টায় পরিচারিকা আসার পর তিনি হাঁটতে বেরিয়ে যান। ছুটি থাকায় তখনও ঘুম থেকে ওঠেননি নিশা। দুপুর ২টোয় ফিরে দেখেন তখনও তিনি ঘুমিয়ে রয়েছেন। এর পরে তাঁকে জাগানোর চেষ্টা করেন। না উঠলে চিকিৎসককে ফোন করেন। তাঁর পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে যান নিশাকে। নিলীমা এই দাবি মানেননি। তিনি জানান, তাঁর দিদির কোনও অসুস্থতা ছিল না। মণীশ তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থা করতেন।
চিকিৎসকেরা নিশাকে পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর নাক, মুখে রক্ত লেগে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠান। পুলিশ নিশার বাড়িতে গিয়ে সব খতিয়ে দেখেন। তার পরেই মণীশকে গ্রেফতার করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য সমাধানের জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল মুকেশ শ্রীবাস্তব। তদন্তকারী দলের প্রশংসাও করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy