আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত লড়াইয়ের বার্তা দিয়েই শেষ হতে চলেছে এ বারের বাজেট অধিবেশন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে গোড়াতেই শুরু হয়েছিল অশান্তি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশনের সমাপ্তিও হতে চলেছে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের চাপান-উতোরের আবহে। এমনকি, বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সৌজন্যমূলক চা চক্রের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস-সহ ১৩টি বিরোধী দল।
আগামী বছর লোকসভা ভোট থাকায় ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ করবে মোদী সরকার। তার আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন আক্ষরিক অর্থেই ছিল ঘটনাবহুল। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্বে আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর কারচুপি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেই অভিযোগের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ার দাবি তোলে বিরোধীরা।
কিন্তু মোদী সরকার সেই দাবি মানেনি। বরং লন্ডন সফরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ‘দেশবিরোধী মন্তব্য করেছেন’ বলে অভিযোগ তুলে পাল্টা হট্টগোলের পথে হাঁটেন বিজেপি সাংসদেরা। দাবি তোলেন রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনার। ফলে গন্ডগোলের জেরে বার বার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন।
এর পর রাহুল একটি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্পিকার তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেন। ঘটনার জেরে সরকার-বিরোধী সংঘাত আরও তীব্র হয়। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলগুলির যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘গোটা অধিবেশনে বার বার বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়ছে। ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট প্রস্তাব পাশ হয়েছে মাত্র ১২ মিনিটের আলোচনায়। বিজেপির স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ বার রাস্তায় লড়াই হবে।’’ আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত লড়াইয়ের বার্তা দিয়েই শেষ হতে চলেছে এ বারের বাজেট অধিবেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy