বহুজন সমাজ নেত্রী মায়াবতী। ছবি: সংগৃহীত
মেয়াদ ফুরনোর আগেই মায়াবতী রাজ্যসভার পদের ‘মায়া ত্যাগ’ করে ইস্তফা দিয়েছেন। আর সেই ইস্তফা-তাসে ভর করেই এ বারে রাস্তায় নামছেন বহুজন সমাজ নেত্রী মায়াবতী। লক্ষ্য তাঁর হারানো দলিত ভোট ব্যাঙ্ক ফেরানো।
সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই দলিত-নিগ্রহ নিয়ে সরব হতে চেয়েছিলেন মায়া। কিন্তু পারেননি। প্রতিবাদে তখনই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। সে দিনটি ছিল ১৮ জুলাই। বিকালে তিন পাতার একটি ইস্তফা পাঠিয়ে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু এই ইস্তফা নিয়মমাফিক না-হওয়ায় সে’টি খারিজ হয়ে যায়। পরে মায়া বুঝতে পারেন, সত্যিই ইস্তফা না দিলে যে দলিতদের তিনি পুঁজি করতে চাইছেন, তাঁদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাই দু’দিন পর মায়া নিয়ম মেনে ফের ইস্তফা দেন ও তা গৃহীতও হয়। কিন্তু প্রথম দিনের ইস্তফার দিনটিকে ধরেই মায়াবতী এ বারে যুদ্ধে ঝাঁপাচ্ছেন।
আজ দিল্লিতে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মায়া জানান, ১৮ জুলাই তিনি দলিতদের জন্য ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাই সেটিকে মাথায় রেখেই প্রতি মাসের ১৮ তারিখে তিনি দলের তৃণমূল স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপাতত তা চলবে সামনের বছর ১৮ জুন পর্যন্ত। জুনের পরবর্তী কর্মসূচি পরে জানাবেন তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর মায়াবতী উত্তরপ্রদেশের মেরঠে বড় সভার ঘোষণা করেছেন।
বিজেপিকে ‘দলিত-বিরোধী’ অ্যাখ্যা দিয়ে মায়া বলেন, ‘‘বিজেপি জাতিবাদ, পুঁজিবাদ, সঙ্কীর্ণ বিচারধারা নিয়ে চলে। মানুষ বিজেপির অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বিজেপির হাত থেকে বাঁচতেই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বাইরেও চলবে এই অভিযান।’’ তবে তাঁর দলের নেতারা মানছেন, উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীকে রীতিমতো কোণঠাসা করে ফেলেছে বিজেপি। তাদের দাপটে মায়াবতীর চিরাচরিত দলিত ভোটব্যাঙ্কও অনেকটাই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। সেটি ফিরে না-পেলে মায়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। তাই তাঁর ইস্তফা যে আসলে সুচিন্তিত রণকৌশল, জনান্তিকে স্বীকার করছেন মায়ার দলের নেতারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy