রূপা কুমারীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর দাদারা। ছবি: টুইটার।
ভিন্জাতের যুবককে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ বোনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেলেন তুতো দাদারা। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনাটি বিহারের অররিয়া জেলার ওয়াথানওয়ার শ্যামনগর গ্রামের। গত ৩০ মে যুবক ছোটু কুমারকে বিয়ে করেন রূপা কুমারী। দু’জনে ভিন্জাতের। একটি মন্দিরে গিয়ে রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করেন তাঁরা। ভিন্জাতের যুবককে বিয়ে করেছে মেয়ে, এই বিষয়টি গ্রামে চাউর হতেই রূপার পরিবার গ্রামবাসীদের সমালোচনা এবং চাপের মুখে পড়ে। অন্য দিকে, ছোটু কুমারের পরিবারকেও এই বিয়ে প্রসঙ্গে নানা কটূক্তি শুনতে হয়েছে। ফলে দুই পরিবারের মধ্যে গোড়া থেকেই বিষয়টি নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়।
बिहार के अररिया में लड़की को जबरन बाइक पर उठा ले गए उसके भाई, लड़की ने अंतरजातीय विवाह की थी, जिससे उसका भाई था नाराज, ये सिस्टम को खुलेआम चुनौती दे रहा
— Shashank Shekhar (@Shashan48591134) June 5, 2023
ये वायरल वीडियो श्यामनगर गांव का बताया जा रहा है, प्राथमिकी दर्ज कर पुलिस कर रही छापेमारी #Bihar #Araria #ViralVideo pic.twitter.com/W2YGhpdXau
ছোটু এবং রূপা বিয়ের পর বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু ছোটুর পরিবার রূপাকে মেনে নিলেও, রূপার পরিবার এই বিয়ে মানতে পারেনি। ফলে একটা চাপা উত্তোজনা কাজ করছিল দুই পরিবারের মধ্যে। বিয়ের দু’দিনের মধ্যেই রূপার শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন তাঁর খুড়তুতো দাদারা। অভিযোগ, রূপাকে ঘর থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান তাঁরা। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রূপাকে পাঁজাকোলা করে তুলে বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছেন। রূপা পরিত্রাহি চিৎকার করছেন। গ্রামবাসীরা সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি।
বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার পঞ্চায়েতে আলোচনার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু সমস্যা সমাধানের বদলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। রূপার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনেন। শুধু তা-ই নয়, রূপাকে দিয়ে জোর করে কাগজে সই করিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পুলিশের কাছেও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন রূপার শ্বশুর। পাল্টা রূপার বাপের বাড়ির লোকেরাও ছোটুর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy