Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Bridge Collapsed in Bihar

বিহারে আবারও ভেঙে পড়ল সেতু! এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা, দুই জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মহারাজগঞ্জ জেলার পতেরি বাজারের সঙ্গে দ্বারভাঙা জেলার রামগড় পঞ্চায়েতের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এই সেতু। কিন্তু সেটি আচমকাই ভেঙে পড়ায় মহাসমস্যায় পড়েছেন দুই জেলার মানুষ।

ভেঙে পড়া সেই সেতু। ছবি: সংগৃহীত।

ভেঙে পড়া সেই সেতু। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১৬:১৮
Share: Save:

বিহারে আবারও ভেঙে পড়ল সেতু। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। শনিবার রাজ্যের দ্বরভঙার রামগড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। সেতু ভেঙে পড়ার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

জানা গিয়েছে, গন্ডক খালের উপর ছিল এই সেতু। দুই জেলার সংযোগস্থল হওয়ায় এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম ব্যস্ত সেতু ছিল। মহারাজগঞ্জ জেলার পতেরি বাজারের সঙ্গে দ্বারভাঙা জেলার রামগড় পঞ্চায়েতের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এই সেতু। কিন্তু সেটি আচমকাই ভেঙে পড়ায় মহাসমস্যায় পড়েছেন দুই জেলার মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি দিন এই সেতুর উপর দিয়ে হাজারেরও বেশি লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সেতুটি ৪০ বছরের পুরনো। তাঁদের অভিযোগ, সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ঠিক মতো মেরামত করা হত না। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খাল সংস্কারের সময় কোনও ভাবে সেতুর স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর তার জেরেই সেই স্তম্ভে ফাটল ধরে। তার পর সেটি শনিবার ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, যে সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় তার উপর কোনও লোক ছিলেন না। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কোনও প্রাণহানি না ঘটলেও এই সেতু যে দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

দিন কয়েক আগেই আরারিয়াতে বাকরা নদীর উপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছিল। ১২ কোটি টাকা খরচ করে সেই সেতু বানানো হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।

অন্য বিষয়গুলি:

bridge collapse Bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE