Advertisement
E-Paper

গলা অবধি মদ খেয়ে বিয়ে করতে ঢুকলেন যুবক! দেখে বিয়ে বাতিল করে টাকা ফেরত চাইলেন কনে

উত্তরপ্রদেশের ভদোহীতে বুধবার রাতে বিয়ের আসর বসেছিল। কিন্তু বর মদ খেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর আচরণ দেখে কনে বিয়ে বাতিল করে দেন।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ১৭:৩৪
Share
Save

বিয়ের আসর বসেছিল মহা ধুমধাম করে। আমন্ত্রিতেরাও সকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাল কাটল বরযাত্রী ঢোকার পরেই। বরের অবস্থা দেখে তৎক্ষণাৎ বিয়ে বাতিল করে দিলেন কনে। ফেরত চাইলেন বিয়ের জন্য খরচ হওয়া টাকাও।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ভদোহীর। ফত্তুপুর এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কির সঙ্গে জয়রামপুরের গৌতমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বুধবার রাতে বসেছিল বিয়ের আসর। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ে করতে যাওয়ার আগেই মদ খেয়ে ফেলেছিলেন বর। তিনি যখন বিয়ের আসরে পৌঁছন, তখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। ভুলভাল বকছিলেন বলেও দাবি করেছে কনের পরিবার। এমনকি, ওই যুবক মদ খেয়ে গালিগালাজও করছিলেন। বিয়ের মঞ্চে উঠে কুকথা বলছিলেন তিনি।

বরের এই রূপ দেখে বিয়ে বাতিল করে দেন কনে। তিনি জানিয়েছেন, কনের পরিবারের লোকজনকে দেখে মঞ্চ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পরে দেখা যায়, তিনি মঞ্চের পিছনে গিয়ে গাঁজা টানছেন। এর পরে আর দেরি করেননি কনে। সকলের সামনেই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেন। এর পর কনের পরিবারের লোকজন বরযাত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।

বর, তাঁর বাবা এবং ঠাকুরদাকে ঘিরে ধরেন কনের আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, বিয়ের আয়োজন করতে তাঁদের আট লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। তা বরের পরিবারের কাছ থেকে ফেরত চান কনের বাবা। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়। শেষ পর্যন্ত এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ।

বিয়ে বাতিলকে কেন্দ্র করে বর এবং কনের পরিবারের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ বিষয়টিকে নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে সারারাত বিক্ষোভ চলে। বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য বরযাত্রীকে ছেড়ে দেয় কনের পরিবার।

UP News Wedding Marriage Groom Bride

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}