বিয়ের সব আয়োজন ঠিকঠাকই ছিল। পাত্র-পাত্রী এবং তাঁদের আত্মীয় স্বজনরা সবাই উপস্থিত। সময় মতো বিয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গেল। কিন্তু, বিয়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসল পাত্রীপক্ষ। পাত্রীর বাবা, ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘এ বিয়ে হবে না।’ বিয়ের শেষ মুহূর্তে এ রকম দাবি তোলাতে পাত্রপক্ষের সবাই হতবাক। কী কারণে এই দাবি তুলছেন, তা জানতে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। আলোচনা-গুঞ্জন চলতে লাগল বিয়ের আয়োজনে তো কোনও খামতি নেই, তা হলে কেন এ রকম বেঁকে বসলেন পাত্রীপক্ষ? সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাত্রীপক্ষ দাবি তোলে, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা হবে। তোলা হবে ছবিও। কিন্তু অনুষ্ঠানের সময় ফোটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফারকে না দেখতে পেয়ে অগ্নিশর্মা পাত্রীর বাবা ও ভাই। যখন এ রকম অবস্থা চলছে, তার মধ্যেই জ্ঞান হারান পাত্রী। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন আত্মীয়রা। এ দিকে, পাত্রীপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে পাত্রপক্ষও ছোটে পুলিশের কাছে। পাত্র আবার নিজে পুলিশকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন পাত্রীপক্ষকে মানাতে। সেখানেও আর এক ঝামেলা। এত ক্ষণ পাত্রীপক্ষ মানছিলেন না, এ বার পাত্রীও বেঁকে বসলেন এই বলে যে, সঠিক আয়োজন না করে পাত্র তাঁর বাবাকে অপমান করেছে।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের ত্রিচিতে। পাত্র সেন্থিল (৩২) এবং পাত্রী রেবতী (৩০)— এঁরা সম্পর্কে আত্মীয়। শুরু থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেন্থিল লরি চালায়। টাকা-পয়সা খুব একটা রোজগার করেন না। তবে রেবতীর বাবা চেয়েছিলেন বিশাল ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেবেন। সেই মতো পাত্রপক্ষের সঙ্গে কথাও হয়। কিন্তু পাত্রীপক্ষের দাবি, কথামতো কোনও আয়োজনই করেননি সেন্থিল। ভিওগ্রাফি ও ফোটোগ্রাফির আয়োজন করার কথা ছিল সেটাও করেননি। এখান থেকেই শুরু ঝামেলার সূত্রপাত।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy