গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই স্কুল শিশুকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনতে চেয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত বিচারপতি মন্তব্য করলেন, ‘‘স্কুলই যদি নিরাপদ না হয়, তা হলে শিক্ষার অধিকার নিয়ে এত কথা বলে লাভ কী!’’
বদলাপুরের ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি করেছে বলে অভিযোগ করেছিল নির্যাতিত দুই শিশুর পরিবার। সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠাণে পুলিশকে কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেই আদালত বলে, ‘‘ওই দুই শিশুর পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলেও কেন অভিযোগ নেয়নি পুলিশ? এটা কী করেছেন আপনারা...? এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ঘটনা।’’
বৃহস্পতিবার বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বিরাজ চহ্বানের বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী দলের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করে হাই কোর্টের বেঞ্চ। বিচারপতি রেবতী বলেন, ‘‘বদলাপুরের ঘটনায় যে ভাবে তথ্য এবং নথি পেশ করেছেন তদন্তকারীরা তাতে উদাসীনতার ছাপ স্পষ্ট। কবে, কী ভাবে, কোথা থেকে তদন্ত শুরু হল, কী ভাবে এগোল, তার বিশদ তথ্য কোথায়?’’ দৃশ্যতই বিরক্তির সুরে বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, ‘‘আমাদের কাছে আপনারা তথ্য গোপন করছেন কেন? কী উদ্দেশ্যে?’’
বৃহস্পতিবার বদলাপুর মামলার শুনানিতে আদালত তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানতে চায়, বদলাপুরের ঘটনায় কবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছিল, কবে তারা পুলিশের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে, এমনকি, পুলিশ কেন তাঁদের সমস্ত নথিপত্র হস্তান্তর করেনি, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে তদন্তকারীদের। আদালত এ-ও জানতে চেয়েছে, ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পকসো মামলায় কোনও মামলা দায়ের হয়েছিল কি না। জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন সরফ আদালতকে জানান, পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি এ-ও নিশ্চিত করেন, এই মামলার তদন্তে আর কোনও ভুল হবে না তদন্তকারীদের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy