আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। যে মায়ের কাছে থাকে। ২০১৫ সালে আদালতে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার পরে খোরপোশের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন মহিলার প্রাক্তন স্বামী।
ফাইল চিত্র।
খোরপোশের একটি মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে বম্বে হাই কোর্ট জানাল, আবেদনকারী প্রাক্তন স্বামীকে প্রতি মাসে নির্ধারিত অর্থ খোরপোশ দেবেন তাঁর চাকুরিরতা স্ত্রী।
২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের নিম্ন আদালত পেশায় শিক্ষিকা ওই মহিলাকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে স্বামীকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ না মানায় ২০১৯ সালে আদালত আর একটি নির্দেশে জারি করে। তাতে মহিলার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়, শিক্ষিকার বেতন থেকে ৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে কেটে নিয়ে তা আদালতে জমা করতে। ২০১৭ সালের খোরপোশের নির্দেশের পরে বকেয়া হিসাবে ওই টাকা মহিলার স্বামীর প্রাপ্য। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টে মামলা করেন মহিলা। তাতে বম্বে হাই কোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ পুরনো রায় বহাল রেখেছে। বিচারপতি ভারতী ডাংরে জানিয়েছেন, ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী ওই শিক্ষিকা প্রাক্তন স্বামীকে খোরপোশ দেবেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। যে মায়ের কাছে থাকে। ২০১৫ সালে আদালতে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার পরে খোরপোশের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন মহিলার প্রাক্তন স্বামী। তিনি জানান, স্ত্রীর জন্য নিজের উচ্চাশা ছেড়েছেন তিনি। স্ত্রীর পাশে থেকে ঘর সামলেছেন। এখন তিনি অসুস্থ। কোনও উপার্জন নেই। তাঁর নামে কোনও স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তিও নেই। তাঁর স্ত্রী নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা করে, অসদুপায়ে বিচ্ছেদ নিয়েছেন। স্বামী আরও জানান, ওই শিক্ষিকা মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বেতন পান। নিজের নামে স্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে। ফলে আইন অনুযায়ী, মাসোহারার আবেদন করেন ওই ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy